Skip to main content

কারাগারটা দাড়ি না, কমা


কারাগারটা দাড়ি না, কমা
বোঝো না, বুদ্ধু কোথাকার 
কিছু কুঁড়ি কারাগারেও ফোটে,
কিছু কবিতা গারদের ভিতরেও জন্মায় 
   ফুল মুচড়ালে গন্ধ ছড়ায় আরো বেশি
       জানো না, বুদ্ধু কোথাকার!

তবু জীবিতের মত ভাবি

কেন কথায় কথায় এত মৃত ব্যক্তিদের প্রসঙ্গ
    কেন বারবার কবর খোঁড়া, চিতার ভস্ম হাতড়ানো

আমি তুমি দু'জনেই তো বেঁচে আছি এখনও
এসো না কথা বলি, না হয় দ্বিমত হই
     তবু জীবিতের মত ভাবি!

দোকানির সাজানো লাটাই


দোকানির সাজানো লাটাই, মাঞ্জা দেওয়া সুতো, ঘুড়ি - ছ'বছরের চোখটায় টাটাচ্ছিল।

মা বললে, এখন থাক 
     (নীরবতা বলল, এখন পারব না)

ছেলেটা বলল, কিন্তু আমাদের ছাদে যে খুব হাওয়া!
    (চঞ্চলতা বলল, এ সব যে আমারই জন্য রাখা!)

আমি ফিরব


ঘড়ির কাঁটার আবর্ত বদ্ধ সময়
আকাশ চরা পরিযায়ী মেঘ
বকের ডানার নিঃশব্দ আন্দোলন

সময়, আলিঙ্গন খোলো 
   আমি ফিরব

যতবার তোমার সামনে এসে দাঁড়াতে চেয়েছি

যতবার তোমার সামনে এসে দাঁড়াতে চেয়েছি
      তোমার মুখের দিকে তাকিয়েছি,
বলেছ, নিজেকে নিয়ে এসো

জিজ্ঞাসা করেছি, আমি কোথায়?

বলেছ, যেখানে তোমার সহজ আনন্দ, সেথায়

জানলার গারদ

জানলার গারদ
বিষন্ন দুটো চোখ

ভারি বর্ষণ

পুরু চশমার কাঁচ 
বর্ষা দেখেছে বহু

ভিতরে বাইরে

সময় স্মৃতিজাত

সময় স্মৃতিজাত
প্রেম বিস্মৃতিতে
মৃত মানুষ হাঁটে জীবিত মানুষের সাথে
স্মৃতি সরণীতে

যদি সোডিয়াম পটাশিয়াম হাত ধরে থাকে!

ভালোবেসেছিলাম


ভালোবেসেছিলাম
শুধু তোমাকেই আমি
বিনা অভিধান 
বুঝতে পেরেছিলাম
Subscribe to উপপত্র