Skip to main content

এককালে আমার ছাত্র ছিল

এককালে আমার ছাত্র ছিল। এখন বন্ধু, খুব কাছের, আদরের আমার। একটা বেশ নামকরা মাল্টিন্যাশেনাল কোম্পানিতে কাজ করে এখন। আমায় খানিক আগে লিখে পাঠালো -

টিনের বাক্স

সরস্বতী প্রাইমারি স্কুল। আমার প্রাথমিক শিক্ষানিকেতন। আমি আর দিদি এক ক্লাস উঁচু নীচুতে পড়তাম। হাওড়ার সালকিয়ায় থাকি তখন। শ্রদ্ধেয় পুলক বন্দ্যোপাধ্যায় মহাশয়ের বাড়ির ঠিক সামনের গলিতে স্কুল। ভোরে উঠে জল বিস্কুট খেয়ে টিনের বাক্সে খাতা পেন বই নিয়ে হাঁটা দিতাম দিদির সাথে। আমরা যৌথ পরিবারে বড় হয়েছি।
...

দোল পূর্ণিমার নিশি নির্ম্মল আকাশ


        যদ্দূর মনে পড়ে জীবনে শোনা প্রথম ভাব জগতে ছবি আঁকা কবিতা শুনেছিলাম ঠাকুমার কণ্ঠে, প্রতি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়, গুজিয়া সহযোগে –


"দোল পূর্ণিমার নিশি নির্ম্মল আকাশ।

বড় মামুর জন্মদিন


        বড় মামুর জন্মদিন। মায়ের সাথে ওর শেষ জন্মদিন। মায়ের এই একটাই ভিডিও আছে। খুব শখ ছিল মায়ের দৈনন্দিন রোজনামচা রেকর্ডিং করে রাখব, একান্ত ব্যক্তিগত সংগ্রহ করেই। হল না। মায়ের জন্য আমার কেনা সাধের শাড়িও মায়ের অন্তিম যাত্রায় আগুনে পুড়তে লেগেছিল। এমনই হতভাগ্য ছেলে আমি। 

মণিমার (Pratima Basu) সাথে আমার পরিচয় Sanhita র মাধ্যমে

মণিমার (Pratima Basu) সাথে আমার পরিচয় Sanhita র মাধ্যমে। সংহিতার মাইমা। সংহিতার সাথে পরিচয় ফেসবুকের মাধ্যমে। সংহিতার এক কথায় পরিচয় ভীষণ ভালো, স্নিগ্ধ একজন মানুষ। একটা দাবীহীন বন্ধুত্বের স্পর্শ সব সময় ওর কাছ থেকে পাই। বোলপুরে থাকে, খুব ভালো রবীন্দ্রনাথের গান গায়, ওর গলায় আমার খুবই ভালো লাগে। সহজ সরল গায়কী।

তখন আমি অনেক ছোটো


       (আজ সুমনের জন্মদিন। এই লেখাটা ওর জন্যেই, আমার ছোটোবেলার একটা টুকরো। এর থেকে বেশি নিজের আর কি দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব তাকে, আমার এই লেখালেখি যাবতীয় কিছুর মূলেই যার প্রেরণা-উৎপাত।)

অতি নৈকট্যের আড়াল

আজ একটা বড় অদ্ভুত ঘটনা ঘটল। আমার এক বহু পূর্ব পরিচিত মানুষের সাথে কথা হচ্ছিল। তিনি মাকে বহুকাল আগে থেকে চিনতেন। তখন ওনার নিজের শ্বশুরবাড়িতে ভীষণ অশান্তি। মা নাকি কয়েক মাস ওনাকে অ্যাডজাস্ট করার কথা বলেন।
...

বৃষ্টি

বৃষ্টি থাকে বাসুদেবপুরের জঙ্গলের মধ্যে। তার এক ভাই গৌর, আরেক ভাই নিতাই। বৃষ্টি ক্লাস ফাইভে পড়ে। মিড ডে মিলে সয়াবিন, ডিম, ডাল, ভাত পায়। বৃষ্টি টুইংকেল টুইংকেল বলতে পারে। বাংলা কবিতাও মুখস্থ বলতে পারে। সে হাতির পায়ে থেঁতলানো মানুষের মাথা দেখেছে। ভয় পায়নি নাকি। গৌর অমনি বলল, তুই ডর পাসনি? বৃষ্টি হেসে বলল, লা!

এটা এমনি মিছিমিছি লেখা

এটা এমনি মিছিমিছি লেখা। মনের মধ্যের কথাগুলো, চিন্তাগুলোকে বাইরে সাজিয়ে সাজিয়ে থাকে থাকে রাখা। না রাখলেও ক্ষতি ছিল না, তবু মাঝে মাঝে ভাঁড়ার ঘরের কোণে পড়ে থাকা অবহেলায় ধুলোমাখা ভাঙা সরাটা দেখলে যেমন মনটায় টুক করে একটা ব্যাথা লাগে, এও তেমন ধারা কথা।

Subscribe to স্মৃতিকথন