ছোটো ঘর। ছোটো শহর।
বড় পরিবার। সঙ্গে অদ্ভুত এক মানুষ।
অন্য দেশ। অন্য নিয়ম। অন্য সমাজ।
এ আফ্রিকা!
আর কোথায় গুজরাটের ছোটো একটা শহর!
উদ্দাম যৌবন। ব্রহ্মচর্যের বিধান। জেদ। ভীষণ জেদ।
সে জেদকে যে ধারণ করে, কে সে!
সে ধৈর্যের বাঁধ ভালোবাসায় বাঁধানো
দশদিক খোলা জীবন। ঘরের কথা বাইরে ছাপা হচ্ছে। বাইরের গোটা জগত ঘরে এসে ঢুকছে। কে আপন? কে পর?
সংসার অনিশ্চিত। ভবিষ্যত অনিশ্চিত।
স্বামী। সন্তান। শ্বশুর শাশুড়ি। আত্মীয়স্বজন। গোটা দেশ। গোটা পৃথিবী। আদর্শ। সত্যাগ্রহ। অহিংসা। ভগবান। উপবাস। আশ্রম।
উঠান। ঠাকুরঘর। শোয়ার ঘর। বারান্দা। রাস্তা। বক্তৃতার মঞ্চ। ভিড়। এবং জেল।
গোটা জীবন কেটে গেল।
মৃত্যু।
স্বামীর এক বিন্দু চোখের জলে সাত সমুদ্রের জল। কবিগুরুর গান শূন্য জেলের মধ্যে - জীবন যখন শুকায়ে যায়।
আজ বহুদিন হল। দেশ অনেক এগিয়ে গেল। অনেক উচ্চাকাঙ্খা, অনেক স্বপ্ন, অনেক সুখ, অনেক বিষাদ, অনেক অন্ধকার, অনেক ঈর্ষা, অনেক অনেক কিছু হল।
শুধু ঝড়কে দুই হাতে আগলে ধরার মত দুটো অনাড়ম্বর হাত, আর স্বচ্ছ হ্যারিকেনের কাঁচের মত দুটো চোখ….বড্ড অভাব! বড্ড আকাল!
মানুষের মধ্যে মানুষের আকালের যুগ।
বা আপনাকে প্রণাম। দুর্দিনে, নিঃসঙ্গ নির্বান্ধব রাতে আপনাকে প্রণাম।
আমি আজও দেখি পোরবন্দরের সমুদ্রের পাশে
শান্তু দুটো চোখ মেলে সমুদ্রের দিকে তাকিয়ে বসে আছ। ঝড়ের বাতাস আর শান্ত বাতাসকে দুই দিকে রেখে। ভয় আর বিষণ্ণতাকে জন্ম না দিয়ে। তুমি তো স্বর্গ থেকে নামা দেবী নও। তাই তোমায় আমার অশুচি হাতেও ছুঁই। বলি, বা, আমার প্রণাম নিও। আমায় পাশে রেখো।
শুভ জন্মদিন বা।