Skip to main content

- দাদা, প্যাণ্ডেল কি খোলা হয়ে গেছে?

- না, কেন? লক্ষ্মীপুজোটা যাক তারপর তো।

- আচ্ছা।

- কেন?

- মাকে বাড়ি আনব। হুইল চেয়ারে আনব তো, ওইটুকু ফাঁক দিয়ে আনা যাবে না, তাই জিজ্ঞাসা করছিলাম।

- কি হয়েছে? কত নম্বর বাড়ি? কি নাম?

- কোমরের হাড় ভেঙেছিল। হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দিয়েছে, এখন এক আত্মীয়ের বাড়ি আছেন। আপনি চিনবেন না আমাদের। আমরা চাঁদা দিই না বেশি। একশো পঞ্চাশ টাকা দিই। সামর্থ্য নেই।

- লক্ষ্মী পুজোর পর আসুন। ব্যবস্থা হয়ে যাবে। শুভ বিজয়া। মাসিমাকে জানাবেন।

- জানাব।

- পুজোর ব্যাপার তো..বুঝতেই পারছেন। এইটুকু গলি, প্যাণ্ডেল করতে গেলে একটু স্যাক্রিফাইস করতেই হবে কাউকে...

- করি তো... আমরা প্রতি বছরই করি। আমাদের বাড়ির সামনের ঘরটা, বারান্দাটায় প্রতি বছর এ সময়টা সূর্যের আলো ঢোকে না তো, মেঘলা দিনের মত হয়ে থাকে। এত উঁচু প্যাণ্ডেল। হবেই তো। দিনের আলো আসে না। তাতে কি হয়েছে, মা তো আসেন। ভালো থাকবেন। আমাদের নিয়ে ভাববেন না। শুভ বিজয়া।

Category