জাগরণ
একটা কয়েন পড়ল মাটিতে। আমার কানে শব্দ আসল। মনে চমক দিল, আমি ফিরে তাকালাম।
ছিন্ন শিকল পায়ে নিয়ে
দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার - অতি প্রাচীন কথা। কর্মক্ষেত্রে, শাসককূলে, ধর্মে, সমাজে, জাতিভেদে ইত্যাদিতে এর উদাহরণ ভুরিভুরি। সেগুলোর একটা যথাযথ কারণ আছে। অত্যাচারটা সমর্থনযোগ্য তা বলছি না। কেউ হয়তো শারীরিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক ইত্যাদি ভাবে পিছিয়ে আছে। তাই সে নরম মাটিতে বলশালী প্রতাপ ফলিয়ে শুরু করেছে অত্যাচার। তবু সেরকম হলে তার উঠে দাঁড়াবার এবং অত্যাচারের প্রতিবাদ করার সুযোগ আছে ভবিষ্যতে।
অন্ধকারের রাজা
মহানিশা
অন্ধকার। মহানিশা। কালীপূজোর রাত। শাস্ত্রর কথা থাক। পুরাণে, তন্ত্রে, বেদে কি লেখে সে কথা থাক। আজ মনকে অন্ধকারের সামনে দাঁড় করানোর কথা।
সর্বজনীন অসর্বজনীনতা
আমাদের ধর্মের সাথে উৎসবের খুব একটা মূলগত যোগাযোগ আছে বলে মনে হয় না। ধর্মের কোনো একটা দিক একে অনুপ্রাণিত করে, এতটাই সত্যি। এরপর বাকিটা আমরা আমাদের মত বানিয়ে নিই।
বিকার ও সম্পর্ক
মন আর শরীর। এ দুটোই অস্তিত্ব। ভাগাভাগি করে নেই, বেশ আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে।
কিন্তু এই দুটোতেই তো পরিচয় শেষ হয় না আমার। পরিচয় হয় সম্পর্কের সূত্রে। সম্পর্ক মনের সাথে, শরীরের সাথে। শুধু আমার না, আমার চারপাশের সাথেও। শুধু জীবন না, জড়ের সাথেও। বিভিন্ন সম্পর্কের সূত্রে পরতে পরতে গড়ে ওঠে আমার এই পরিচয়।
খুড়োর কল
আজকাল 'যোগ্যতা' নিয়ে আলোচনা খুব একটা দেখি না। আপনি কি যোগ্য? এ প্রশ্ন আত্ম-সম্মানে লেগে যাচ্ছে সরাসরি।
'ইচ্ছা থাকলে মানুষ কি না পারে?' ... 'চেষ্টা করলেই সব হয়' .... 'ও করতে করতে শিখে যাবে' ..... 'জলে না নামলে কেউই সাঁতার শিখতে পারে না' ..... ইত্যাদি সব যুক্তির দোহাই-এ 'কারে দিলে রাজার পাঠ' হয়ে যাচ্ছে যে চারদিকে! যেমন কয়েকটি ঘটনাঃ
পাতি কথা
মনের গলি ঘুরছিলাম। নিজের সাথে, নেটের এ পাড়া ও পাড়া। কত কথা ছড়ানো ছেটানো। কত তথ্য। কত বাদ বিবাদ। মানুষের পরতে কতটা পোশাক লাগে, তার হিসাব আছে। খেতে কতটা চাল লাগে তাও মাপা যায়। কিন্তু বাঁচতে কতটা জ্ঞান লাগে - এ হিসাব করে ওঠা দায়। যদি জ্ঞানকে কাজের বস্তু ভাবি তবেই অবশ্য। কেউ যদি বলেন জানার আনন্দে জানতে চাইছি, তবে তার ক্ষেত্রে হিসাব নিকাশের বালাই নেই। যেমন কেউ যখন খাওয়ার আনন্দে খায়, কিম্বা সাজার আনন
খেপা শ্রাবণ
বাংলা দিনপঞ্জী অনুযায়ী এটা আশ্বিন। কিন্তু প্রকৃতির কি সে খেয়াল আছে? প্রকৃতির ক্যালেন্ডারের সাথে আমাদের ক্যালেন্ডার আর কবে মিলল?
আমার না-বলা বাণীর ঘন যামিনীর মাঝে
"এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, যার ওপর রবীন্দ্রনাথের কোনো গান বা কবিতা পাওয়া যায় না।"
এ কথা আমিও আগে বিশ্বাস করতাম। বিশেষ করে গানের ক্ষেত্রে এ উক্তিটিকে ধ্রুবসত্য বলে জানতাম।
আজ মনে করি না। আজ সে কথা কেউ বললে ভাবি, হয় আপনি পুরো গীতবিতানের পথ হাঁটেননি, নতুবা মানুষটাকে বোঝেননি। অহংকারীর মত শোনালো?