Skip to main content

রাধাকৃষ্ণানের নব্যভারত

কথাটা ছিল আগামী দিনের ভারতবর্ষের। রাধাকৃষ্ণান যা ভাবতে চেয়েছিলেন তা হল আগামী ভারতের চিন্তাধারা কেমন হবে তা নিয়ে। তিনি দুই ধরণের ভারতীয়দের কথা বলেছিলেন। এক, যারা গোঁড়া, যারা মনে করেন ভারতীয় ষড়দর্শনে যা লেখা হয়ে গেছে সেগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করলেই ভারতীয় সংস্কৃতি বেঁচে যাবে;

অমর্ত্যবাবুর অবাঙালী জীবনীকার হলে ভালো?

আজকের 'দ্য টেলিগ্রাফ'র এডিটোরিয়ালে একটা প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক, বুদ্ধিজীবী রামচন্দ্র গুহার মন্তব্য। শেষ কথাটায় ঠেক খেলাম, কেন একজন বাঙালি অমর্ত্য সেনের জীবনীকার হতে পারবেন না? পক্ষপাত, আবেগ আর স্বজনজনিত দুর্বলতা দুষ্ট হয়ে যাবে বলে? কথাটা কোথাও একটা খারাপ লাগা আনল।

পুরুষের উর্বশী বাসনা

 ফেসবুকে একটা ছবি নিয়ে খুব আলোড়ন হচ্ছে। বিয়ের টোপর মাথায় একজন সম্পূর্ণ নগ্ন নারী। এ দৃশ্য নতুন কিছু না, নানা ফটোগ্রাফির পেজে এরকম চিত্র ভুরিভুরি। বলা যেতে পারে পুরুষের নগ্নচিত্র তোলা হয় না কেন? কারণ অনেকের মতে পুরুষের শরীরে নাকি সেই সৌন্দর্য বিধাতা দেননি, যেই সৌন্দর্যে নারীকে ভরিয়ে তুলেছেন।

অটো ইম্যুউন

        রুচির বৈষম্যতা আর রুচির মান এক কথা কি? খাদ্যে রুচির পার্থক্য হয়েই থাকে। টক, ঝাল, মিষ্টি, অম্ল ইত্যাদি নানা স্বাদের বৈষম্য থাকে। তাতে কারো কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে কোনো তথ্য কোথাও লিপিবদ্ধও নেই। কিন্তু খাদ্য-অখাদ্যের বিচার যখন আসে তখন যদি কেউ সেই বিচারের ক্ষেত্রকে রুচির বিচারের ক্ষেত্রর মধ্যে নিয়ে আসে? অখাদ্যকে রুচির তারতম্য বলে চালাতে চায়?

সাধ বনাম সুবিধা

        ডারউইন মহাশয়ের মতে সংগ্রামই হল টিকে থাকার মোদ্দা কথা। কিসের জন্য সংগ্রাম? না অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম। আমাদের কিসের জন্য সংগ্রাম? না সুবিধার জন্য। সবার থেকে বেশি সুবিধার মধ্যে আমি বাঁচতে চাই। যে 'বেশি সুবিধা'র কোনো নির্দিষ্ট পরিমাপ নেই, থামার জায়গা নেই। 

আঁতলামি

        সবার শেষ কথা কি বাজারে কাটতি? বক্স অফিস হিট? এমন একটা ধারণার বিপরীত মানে কি আঁতলামি? বলা হয় আঁতেল শব্দটা নাকি ইন্টেলেকচ্যুয়ালের ফরাসী উচ্চারণের অপভ্রংশ। হবে হয় তো। তবে কথাটা ব্যঙ্গাত্মক এই নিয়ে সন্দেহ নেই। 

পিলসুজের আনন্দ

        বঞ্চিত হওয়া আর ত্যাগ করা একই কথা তো নয়। দৃষ্টির সামনে যে অসীম জগত তার একটা ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অস্তিত্বে নিজেকে স্বীকার করে বাঁচতে চাওয়ার অভ্যাস - এই তো কথা? একি সামান্য কথা? আমার এই 'আমি' জাগতের কাছে অতিতুচ্ছ একটা অস্তিত্ব হলেও, আমার নিজের কাছে তো সে আছে বলেই জগত সংসার!

গুরু

        গুরু যেদিন ব্যক্তিত্ব থেকে ব্যক্তি হল সেদিনই বিপদ হল। বিদ্যা আর দক্ষতার বলে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, উকিল, রাঁধুনি, মুচি, জমাদার। কিন্তু গুরু হন ব্যক্তিত্বের বলে, ততটা বিদ্যা আর দক্ষতার জন্য না। 

ন্যায় আমাদের নীতিগত না ধর্মগত

        ন্যায় আমাদের নীতিগত না ধর্মগত। ধর্ম আমাদের বিবেকগত না, আচারগত। আচার আমাদের বিজ্ঞানগত না, অতীত ঐতিহ্যগত। তাই মারতে বা মারের হয়ে সাফাই গাইতে আমাদের অসুবিধা হয় না। আমাদের অবচেতন জুড়ে হাজার বছরের আচারের ভরবেগ, আমি থামাতে চাইলেও থামবে কেন? 

রথের চাকা

        এক, আমি নিজে; দুই, আমার সমাজ; আর রইল বিশ্বচরাচর। এই তিনকে ঘিরে একটা জীবন। এই তিনটেকে গেঁথে একটা সূত্র আছে - দর্শন। একজন মানুষ জেনে হোক, না জেনে হোক, কোনো না কোনো একটা দর্শনে বিশ্বাস করে। তার সেই বিশ্বাসের সাথে তার আচরণ যত খাঁটি সে তত স্বচ্ছ। তার সে দর্শন যত উচ

Subscribe to প্রবন্ধ