Skip to main content

ভালো থাকার পাসওয়ার্ড (© বুদ্ধ)

চারটে কৌশল। ভালো থাকার। মনকে ভালো রাখার। বুদ্ধধর্মে একে বলে 'ব্রহ্মবিহার'। কথাটা শক্ত। ব্রহ্ম অর্থে আনন্দ বুঝে নিলে হ্যাপা নেই। গুরুদেব বলেন, সত্যকে পাই নিয়মের মধ্যে আর আনন্দকে পাই সৌন্দর্যের মধ্যে। চিন্তার জলে ভাবের স্রোত। অববাহিকা আমার হৃদয়, মানে আমি। ডুবছি আর ভাসছি। বিরাম নেই। কখনও আবার নিজের তৈরী ঘূর্ণিতে ফাঁসছি। ত্রাহি ত্রাহি রব। নানা মানুষের সম্ভার নিয়ে সংসার। এত বিচিত্র গতিতে হাল ঠিক রাখি কি করে? সেই নিয়েই কথা। এর মধ্যেই ভালো থাকার একটা প্রাচীন কৌশল নিয়ে খানিক কথা বলার ইচ্ছা।
...

কবিতা - বিশল্যকরণী

তখন আমার অশৌচ। মা চলে গেছেন। সবাই বলল, মন্দিরে যেও না, শুভ অনুষ্ঠানে যেও না, তোমার অশৌচ। এক বছর। প্রথম কয়েকমাস কিছু বুঝলাম না। পরে ধীরে ধীরে বুঝলাম কথাটা কত গভীরে কাজ করে গেছে। 
...

বন্ধু

আদতে একটা মানুষ নিজে ভালো না হলে কি কারোর ভালো বন্ধু হতে পারে? ‘বন্ধুর মত’ হতে পারে, কিন্তু বন্ধু হয়ে ওঠা কি এত সোজা? তাকে দিয়ে আমার কিছু প্রয়োজন মেটে আর আমাকে দিয়ে তার, এটা একটি চলতি বন্ধুত্বের মতন কিছু একটা হলেও বন্ধুত্ব তো নয়। যার সঙ্গে স্বস্তি আর তোষণ তবে কি সেই বন্ধু? কিছুটা সত্যিই হলেও পুরোটা কি?
...

প্যাকেজ-ধর্ম

তুমি তোমার মূর্খামিতে খাঁটি
এ নিয়ে নাই সন্দেহ
  কিন্তু তোমার মূর্খামির সাথে কি করে হাঁটি?
...

সমাজ

মানুষ যা যা কিছুকে অত্যন্ত করে চায়, তার প্রধানতম হল সমাজ। সে নিজেকে দেখতে চায় সমাজের আয়নাতেই। সমাজ তার অস্তিত্ব। তার পায়ের তলার মাটি। ব্যক্তি আর সমাজের মধ্যে যে দ্বন্দ্বটা আমরা দেখি, সেটার মূলে আসলে গঠিত, জীবিত সমাজ বনাম আমার কল্পিত, ধী-দৃষ্ট সমাজ। ব্যক্তি বলে যা আমরা বুঝি, তা একটা মৌলিক অস্তিত্ব তো কিছুতেই নয়। না হলে অভিব্যক্তি কথাটা অর্থহীন হত। দীর্ঘকালের ধারাবাহিক এক প্রক্রিয়ার ক্ষণিক বুদবুদ এই ব্যক্তিসত্তা। এমনকি জীবনবিজ্ঞানের কথা অনুযায়ী গর্ভস্থ একটা ভ্রূণকেও তার প্রাচীন গতিপথের ধাপগুলিকে একবার করে স্মরণ করতে করতে আসতে হয় – ব্যক্তিজনি জাতিজনিকে স্মরণ করে – বিজ্ঞানী হেকেল মহাশয়ের অসামান্য পর্যবেক্ষণ।
...

সবই তো আছে

সবই তো আছে। নেতা আছে, নীতি আছে, ধর্ম আছে, ধর্মস্থান আছে, গুরু আছে, শিষ্য আছে। তবু কি যেন নেই। কার যেন একটা অভাব। কত পাণ্ডিত্য আছে। কত গবেষণা আছে। কত বড় বড় প্রতিষ্ঠান, কত চিন্তাবিদ আছেনই তো। তবু কি যেন নেই, কি যেন নেই। 
        সুভাষচন্দ্রের ভাষণ দিতে গিয়ে কণ্ঠ অবরুদ্ধ হয়েছে এমন ঘটনা ঘটেছে। মোহনদাস গান্ধী নুন বানাতে যাওয়ার ডাক দিয়েছেন তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ সাড়া দিয়েছে – ইতিহাস সাক্ষী। সুভাষ বা গান্ধী কেউই তাদের মতাদর্শ অনুসরণ করলে চাকরি দেবেন এমন কথা দেননি। তবু মানুষ গেছে। মেরেছে। মরেছে।

সেদিন বেসিনে মুখ ধুচ্ছি

সেদিন বেসিনে মুখ ধুচ্ছি। হঠাৎ খেয়াল করলাম বেসিনের সাদা রঙের উপর আরেকটা উজ্জ্বল সাদা আলো। বুঝলাম বেসিনের উপর যে ছোট্ট জানলা সেই দিয়ে চাঁদের আলো এসে পড়েছে। এ যেন হঠাৎ করে বাড়তি একটা পাওয়া। মন চমৎকৃত হল। খুব দূরের অধরা কিছু আজ যে তার নাগালের মধ্যে, সে যে কি পুলকিত হল, তা বলার নয়।

বিবেকানন্দের ঈশ্বর কে ছিলেন?

“আপনি কি ঈশ্বরকে দেখেছেন”? 
        উত্তর এলো “হ্যাঁ দেখেছি” শুধু না, “তোকেও দেখাতে পারি”। দেখালেন। তিনি ছুঁয়ে দিতেই নরেনের বিশ্বজড়বোধ লোপ পেয়ে যায়। বিশ্ব চেতনায় উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে তার চেতনা। সেকি ঈশ্বর দর্শন? এরপরেও তিনি শোনেন তাঁর গুরুই এই বিশ্বসংসারের বিশ্বপিতা, “যে রাম, যে কৃষ্ণ, সেই রামকৃষ্ণ”। সেই কি তবে ঈশ্বরদর্শন? না, তাতেও তো শান্তি হল না তাঁর! অথচ শাস্ত্র বলছেন একবার ঈশ্বরকে লাভ করলেই মানুষ চিরশান্তিতে ডুবে যায়, তার নাকি আর কিছুরই তৃষ্ণা, খোঁজ থাকে না? সে নাকি ‘তৃপ্ত ভবোতি... স্তব্ধ ভবোতি... অমৃত ভবোতি’ হয়ে যায়? হল না তো নরেনের বেলায়। 
...

শিক্ষার অন্ধকার

আজ রামকৃষ্ণ জিতে গেলেন। বলেছিলেন না, “চালকলা বাঁধা বিদ্যা আমার চাই না”। কি স্পর্ধা না এক মূর্খ বামুনের? এতবড় এডুকেশান সিস্টেম, এত কোটি কোটি টাকা খরচ করে শিক্ষিত মানুষ তৈরির উপায়। এত গবেষণা, এত গবেষক, এত শিক্ষক, এত অধ্যাপক, এত স্কলার... সব শেখালো, শুধু অসুস্থ মাকে কি করে বাঁচিয়ে রাখতে হয়, সেবা করতে হয়... না ‘সেবা’ কথাটা আবার সেকেলে, কি করে take care করতে হয় আর শেখাল না। 
...

রাগ


রাগ হতেই পারে। সে রাগের ন্যায্য কারণ থাকুক চাই না থাকুক। যদিও সব রাগেরই ন্যায্য কারণ নাকি সব সময় থাকে। রাগ মানে কি অসন্তোষ? তা তো নয়। আবার 'তা তো হয়' বললেই বা আপত্তি কি? রাগ মানে কি ক্ষোভ? রাগ মানে কি হতাশা? রাগ মানে কি অভিমান? রাগ মানে তবে ক্রোধ? রাগ মানে তবে অভিযোগ?

Subscribe to প্রবন্ধ