Skip to main content

ভাষা কথা

আত্মবিশ্বাস হারাতে শুরু করলে মানুষ নিজের সাথে সাথে নিজের বলতে যা কিছু তার উপর জোরও হারাতে থাকে। আমাদের ভাষার জোর যে কাজের ক্ষেত্রে অনেক কমে এসেছে তার কারণ এই নয় যে আমাদের পরিভাষা নেই, কারণ এই যে আমাদের পরিভাষা বানানোর তাগিদ নেই। তার ব্যবহারের দরকার নেই।

মনের ওই ঢেউ

 অনুভব, আবেগ প্রকাশ করা যাবে না। বললে তা নিয়ে লোকে হয়ত হাসাহাসি করবে। অনুভব, আবেগ অনেক কোমল জিনিস, আপনি ওকে নিয়ে বিশ্লেষণ করতে পারেন না, হয় শোনেন নইলে আমারে যেতে দেন, আমার নিজের কথা, নিজের অনুভবের ভাষা আপনি বুদ্ধি দিয়ে বুঝবেন কি করে? বুদ্ধি হৃদয়ের কথা বোঝে?

অভয়

        ভয় আমার আত্মীয় না। ভয় আমার প্রতিবেশী না। ভয় আমার পরিচিতও না। ভয় আমার কে?

শান্তি

        হাতটা ঠাণ্ডা বস্তুতে লাগলে ঠাণ্ডা অনুভব হয়, গরম বস্তুতে লাগলে অবশ্যই গরম অনুভব হয়। আবার দুঃখ অনুভব হয়, আনন্দ অনুভব হয়, ফ্রেশ অনুভব হয়, কুল অনুভব হয়। কথা হচ্ছে, এই অনুভবটা কি তবে? অনুভব কি অভিজ্ঞতা, না কোনো অভিজ্ঞতার দরজা?

বাঘাদা, গান কই?

"আসিবে ফাল্গুন পুন,   তখন আবার শুনো
     নব পথিকেরই গানে নূতনের বাণী।।"

কথা, ইচ্ছা-অমৃত

আয়না কথা বলে না। সময় কথা বলে না। সকালের আলো, রাতের অন্ধকার কথা বলে না। আশেপাশের পশুপাখিরা শব্দ করে, কিন্তু কথা বলে না। মানুষের সব কথা মানুষকে নিয়ে। কত কথা। নিজেকে নিয়ে কথা, প্রতিবেশীকে নিয়ে কথা। মানুষের আত্মীয় - প্রতিবেশী থেকে ঈশ্বর সবাই, এমনকি মাঝে মাঝে সে নিজেও নিজের প্রতিবেশী, সে নিজেই দূরের আত্মীয়।

রাধাকৃষ্ণানের নব্যভারত

কথাটা ছিল আগামী দিনের ভারতবর্ষের। রাধাকৃষ্ণান যা ভাবতে চেয়েছিলেন তা হল আগামী ভারতের চিন্তাধারা কেমন হবে তা নিয়ে। তিনি দুই ধরণের ভারতীয়দের কথা বলেছিলেন। এক, যারা গোঁড়া, যারা মনে করেন ভারতীয় ষড়দর্শনে যা লেখা হয়ে গেছে সেগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করলেই ভারতীয় সংস্কৃতি বেঁচে যাবে;

অমর্ত্যবাবুর অবাঙালী জীবনীকার হলে ভালো?

আজকের 'দ্য টেলিগ্রাফ'র এডিটোরিয়ালে একটা প্রবন্ধ লিখতে গিয়ে প্রখ্যাত ঐতিহাসিক, বুদ্ধিজীবী রামচন্দ্র গুহার মন্তব্য। শেষ কথাটায় ঠেক খেলাম, কেন একজন বাঙালি অমর্ত্য সেনের জীবনীকার হতে পারবেন না? পক্ষপাত, আবেগ আর স্বজনজনিত দুর্বলতা দুষ্ট হয়ে যাবে বলে? কথাটা কোথাও একটা খারাপ লাগা আনল।

পুরুষের উর্বশী বাসনা

 ফেসবুকে একটা ছবি নিয়ে খুব আলোড়ন হচ্ছে। বিয়ের টোপর মাথায় একজন সম্পূর্ণ নগ্ন নারী। এ দৃশ্য নতুন কিছু না, নানা ফটোগ্রাফির পেজে এরকম চিত্র ভুরিভুরি। বলা যেতে পারে পুরুষের নগ্নচিত্র তোলা হয় না কেন? কারণ অনেকের মতে পুরুষের শরীরে নাকি সেই সৌন্দর্য বিধাতা দেননি, যেই সৌন্দর্যে নারীকে ভরিয়ে তুলেছেন।

অটো ইম্যুউন

        রুচির বৈষম্যতা আর রুচির মান এক কথা কি? খাদ্যে রুচির পার্থক্য হয়েই থাকে। টক, ঝাল, মিষ্টি, অম্ল ইত্যাদি নানা স্বাদের বৈষম্য থাকে। তাতে কারো কোনো ক্ষতি হয়েছে বলে কোনো তথ্য কোথাও লিপিবদ্ধও নেই। কিন্তু খাদ্য-অখাদ্যের বিচার যখন আসে তখন যদি কেউ সেই বিচারের ক্ষেত্রকে রুচির বিচারের ক্ষেত্রর মধ্যে নিয়ে আসে? অখাদ্যকে রুচির তারতম্য বলে চালাতে চায়?

Subscribe to প্রবন্ধ