Skip to main content

অচ্ছুৎ টুইটার ও ব্রাহ্মতন্ত্র

১) “বাহ্যেন্দ্রিয় ও অন্তরিন্দ্রিয়ের সংযম, কায়িক, বাচিক ও মানসিক তপস্যা; অন্তর্বহিঃ শৌচ, ক্ষমা, সরলতা, শাস্ত্রজ্ঞান ও তত্ত্বানুভূতি এবং শাস্ত্রে ও ভগবানে বিশ্বাস – এই সকল ব্রাহ্মণের স্বভাবজাত ধর্ম” - গীতা

হেঁসেলের সহমর্মিতা

যে কোন ism বা -বাদ এর সুবিধা হল, সে একটা করিডোর ভিসন বা টানেল ভিসন দেয়। যেমন নারীবাদীর দৃষ্টিভঙ্গীর মজা হল সংসারে আশেপাশে যাই ঘটুক না কেন, তাকে অন্যান্য যে কোনো দৃষ্টিভঙ্গীতেই দেখা যাক না কেন, তার ব্যাখ্যা একটা নির্দিষ্ট দিকেই গড়াবে, একটা বিশেষ দৃষ্টিভঙ্গীতেই হবে।

শুদ্ধতার মোহ

মানুষের কতগুলো মৌলিক প্রবণতা আছে ব্যক্তিত্বের। সুন্দরের প্রতি আকর্ষণ, ক্ষমতার প্রতি আকর্ষণ, সত্য বা জ্ঞানের প্রতি আকর্ষণ, শুদ্ধতার প্রতি আকর্ষণ। খিদে, তেষ্টা, নিরাপত্তা, কাম, অহং-এর তৃপ্তি - এগুলোকে ধরছি না। এ সবার মধ্যেই থাকে, মাত্রার তারতম্যে। এরা প্রবণতা না, এরা চাহিদা।

আমার লাইব্রেরি বিরহ

        আজ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে বিবেক দেবরায় মহাশয় খুব আক্ষেপ করে লিখেছেন যে কলকাতার প্রধান গ্রন্থাগারেও আধুনিক বইয়ের সংযোজনের হার খুব কম। এবং কি কি আইনে সেটা দণ্ডনীয় অপরাধের মধ্যে পড়ে, তাও লিখেছেন। তা অতবড় মানুষটা যখন বলছেন, তখন অমন একটা আইন নিশ্চয় থাকবে। কিন্তু যে দেশে লাইব্রেরিতে সেই কালিদাসের পর

আলোকে ভরা উদার ত্রিভুবন

ভারত একদিন বুঝেছিল, শাস্ত্র আর হোলিবুকের মধ্যে একটা পার্থক্য আছে। শাস্ত্র যা শাসন করে, যাকে শুধু শুদ্ধ, পবিত্র বলে মেনে চললেই হয় না, প্রয়োজনে তাকে প্রশ্ন করাও যেতে পারে। এই প্রশ্ন করা, ক্রিটিকালি দেখার প্রচেষ্টা নিয়ে ভারতের দর্শন এগিয়েছে বলেই, ভারতে ধর্মগ্রন্থ আর দর্শন গ্রন্থ কাছাকাছি এসে পড়েছে।

ক্ষণ ও সুর

        মানুষ বাণীতে বাঁচে। অতীতে বাঁচে। আক্ষেপে বাঁচে। ক্ষোভে বাঁচে। ঈর্ষায় বাঁচে। প্রতিযোগিতায় বাঁচে। ছলনায় বাঁচে। ক্রোধে বাঁচে। বিষণ্ণতায় বাঁচে। অপমানে বাঁচে। অহঙ্কারে বাঁচে। হীনমন্যতায় বাঁচে। রোগে বাঁচে। অভাবে বাঁচে। প্রাচুর্যে বাঁচে। মধ্যবিত্ততায় বাঁচে। অলসতায় বা

এখনই যাব না সেখানে

        এই তো শ্রদ্ধা ছিল। গেল কোথায়? এই তো ভক্তি ছিল। গেল কোথায়? একটা পাখি সকাল থেকে ডাকছে, তোর নাম কি? থাক, নাম জেনেই বা কি হবে! কটা নামই আর মনে থাকল সারা জীবন?

ভিক্ষাপাত্র


        বোষ্টুমি (এ বানান অভিধানে নেই, জিভেতে আছে) এসে দাঁড়ালো দরজায়, নামগান শুনতে পাচ্ছি। বোষ্টুমির গায়ে গেরুয়া শাড়ি। কপালে চন্দন। কালো মুখের মধ্যে খোদা দুটো পোড় খাওয়া চোখ। 

নানান ঘোরে তুফান তোলে

        দর্শন শুষ্ক, অনেকে বলেন। যদিও আমার কাছে আজ অবধি তা মনে হয়নি কখনও। নিজেকে জানার, নিজের বাইরে ভিতরে আসা যাওয়া করার এর থেকে ভালো পথ আর দেখি না। প্রতিটা অনুভবের একটা ছায়া থাকে। সে ছায়ার থেকে সরে দাঁড়িয়ে যদি কিছুক্ষণ নিবিষ্ট চিত্তে সেই ছায়ার দিকে তাকিয়ে থাকা যায়, ত

মহাত্মা

তখন আমি ফার্স্ট ইয়ারে পড়ি। অনেক কিছুই পড়া হয়ে গেছে। কিন্তু কোথাও একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছে। যে জীবনটা খুঁজছি, তার আভাস তো পাচ্ছি, কিন্তু তাকে ধরতে পাচ্ছি না। এমন সময় একটা দূর্গাপূজোর আগে, আমার এক বন্ধুর বাড়ি গেছি। তার বাড়িতে তাদের বইয়ের আলমারিতে পেলাম বইটা। কিরকম একটা কৌতুহল জাগল। আবার একটা কুন্ঠাও।
Subscribe to প্রবন্ধ