গোঙানি
মানুষের গভীরের একটা শব্দ - গোঙানির শব্দ। গভীর যন্ত্রণার শব্দ। সে শব্দের কোনো শ্রোতা নেই। তার কোনো বৈচিত্র্য নেই। তার আঘাত আছে। বারবার বুকে এসে লাগা ঢেউয়ের মত, পৌনঃপুনিক অস্তিত্ব আছে।
সত্যেরে লও 'সহজে' না, নাও জাস্টিফিকেশনে
রাগ করতে নেই। ওভাবে বলতে নেই। ভালো হতে হয়। শান্ত হতে হয়। ভালো কথা বলতে হয়। মিষ্টি কথা বলতে হয়। মনকে উত্তেজিত হতে দিতে নেই।
দাভোলকার ও কিছু কথা
এক ও একা
মানুষ অনেকভাবে একা হয়। আদর্শবোধে একা হয়। ঔচিত্যবোধে একা হয়। নীতিবোধে একা হয়। যন্ত্রণায় একা হয়। ভাবনায় একা হয়।
মানুষ অনেকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়। লোভে বিচ্ছিন্ন হয়। ঈর্ষায় বিচ্ছিন্ন হয়। আতঙ্কে বিচ্ছিন্ন হয়। আশঙ্কায় বিচ্ছিন্ন হয়। ষড়যন্ত্রে বিচ্ছিন্ন হয়। স্বার্থপরতায় বিচ্ছিন্ন হয়।
ভেবে দেখ মন কেউ কারো নয়
গল্পটা পুরুষতন্ত্র, ধর্ম, রাজনীতি, কুসংস্কার, আবেগ, দুর্নীতি ইত্যাদি যাই বলো না কেন, ব্যাপারটা অত জটিল কিছু নয়। মোদ্দা কথাটা হল, কে ডমিনেট করবে আর কে ডমিনেটেড হবে। যে ডমিনেট করবে, সে দুষ্টু, খারাপ, লোভী, অবিবেচক ইত্যাদি তকমা পাবে। আর যে ডমিনেটেড হবে সে বেচারা, নিরীহ, নিষ্পাপ, নিষ্কলুষ ইত্যাদি তকমা পাবে। যে ডমিনেট করে, মানুষ তাকে মনে মনে ফুলচন্দন দিয়ে, যে ডমিনেটেড হচ্ছ
ছল চাতুরী ও অভিনয়
ছল চাতুরী শিখতে হয় না। সে মানুষের আদিম প্রবৃত্তিগুলোর মধ্যে একটা। একটি ছেলের আর্থিক অবস্থা খারাপ। সে পড়তে এসেছে। তার মা অনুরোধ করলেন একটু দেখতে। দেখা হল। মাস তিনেক বাদে খোঁজ পাওয়া গেল, সে আরো একজনের কাছে একই বিষয় পড়তে যায়, অর্থের সম্পূর্ণটা দিয়েই। এদিকের ছাড়, ওদিকে ব্যবহার হয়ে গেল। এক ঢিলে দুই পাখি। আরেকটি উদাহরণ, একজন একদিন পড়তে এলো না। তাদের সচ্ছল অবস্থা। মা বাবা বল
সম্পর্ক
বিয়ে হল। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মনে হতে শুরু করল, না, এ মানুষটা ঠিক আমার মনের মত মানুষ না। মানে আমি যেমন চাইছিলাম ঠিক তেমন না।
আবার এমন হতে পারে, বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই মনে হল, আমরা সংসারটা যেভাবে চেয়েছিলাম ঠিক সেভাবে হচ্ছে না।
মানুষের আত্মদর্শন
ভারতের ঈশ্বর চেতনা নিয়ে আলোচনা নেই সেখানে। থাকার কথাও নয়। তবে লেখকের ঈঙ্গিতটা বেশ স্পষ্ট। উপনিষদকে কেন এতটা গুরুত্ব দিলেন রামমোহন রায়। আমাদের সমাজে সেদিন যত কুসংস্কার ছিল, সেসব যে সে উপনিষদজাত নয় তাও দেখিয়েছিলেন।
বাউল সত্যজিৎ
ইন্টেলেকচুয়াল অ্যারিস্ট্রোকেসি আর সোশ্যাল অ্যারিস্ট্রোকেসি - দুই-ই যত গর্জায় তত বর্ষায় না। সত্যজিৎবাবু হয় তো হাঁপিয়ে উঠেই 'আগন্তুক' সিনেমার স্ক্রিপ্টটা লিখে ফেলেছিলেন। সিনেমা মানে তো আদতে স্ক্রিপ্ট। স্ক্রিপ্টটাই তো ভাবনা। সেই ভাবনাটা নিশ্চয়ই কোনো এক যন্ত্রণা থেকেই উঠে এসেছিল। নইলে শেষ দুটো সিনেমায়, 'শাখা-প্রশাখা' আর 'আগন্তুক'-এ এমন দুটো চরিত্রকে দাঁড় করাতে চাইলেন কেন?
গভীর সর্বনাশে
ভারত অর্থনীতিতে উন্নতি লাভ করছে শুধু না, ভারতীয়ের প্রতি যে আগে দুর্নাম ছিল, এরা বড্ড পরকালমুখী চিন্তাভাবনা করে দিন কাটাতে ভালোবাসে, একদম ইহকালের ভোগসুখ নিয়ে, জাগতিক উন্নতি নিয়ে ভাবে না ইত্যাদি ইত্যাদি, সে কলঙ্ক ঘুচেছে।