sumanasya
5 October 2025
সমাজ যাকে পুরুষ অথবা স্ত্রী কারোরই মর্যাদা দেয়নি। যে নিজেকে সাজিয়ে নিয়েছে নিজের মত করে, সে প্রতিদিন সন্ধ্যারতির সময় এসে বসে শিবমন্দিরে। আরতি হয়ে গেলে, পঞ্চপ্রদীপ নিয়ে এসে দাঁড়ায় মন্দিরের বাইরে। রাখে এক কোণায়। সবাই এসে ভিড় করে। ক্রমে ক্রমে একটা একটা করে শিখা নিভে আসে। হয় তো বা একটা কী দুটোই জ্বলে থাকে শেষে। সে তাকিয়ে থাকে উদাসীন। ধীরে ধীরে নিভে যাবে জেনেও তাকিয়ে থাকে, বিনা প্রত্যাশায়। এক সময় নিভে যায়। ঈষৎ উষ্ণ প্রদীপটা নিয়ে মন্দিরের কোণায় গিয়ে রাখে। মন্দির ভরে তখনও সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া আরতির সৌরভ। ধূপধুনোর রেশ। তার কুড়িয়ে পাওয়া আশ্বাস। গড় হয়ে প্রণাম করে। উঠে দাঁড়ালে পুরোহিত তার হাতে একটা প্রসাদী ফুল দেয়। আঁচলে বেঁধে বাড়ি ফেরে। তার জন্যে তার শূন্য ঘরে অপেক্ষা করে এক পুরুষ। যে আজও জন্মায়নি। অপেক্ষাটা জন্মেছে তার বুকে, তার আগাম পরিচয় নিয়ে।