সেলাই তো পডবে, কিন্তু ক'টা?
পারবো
না
এটা কে? এই.. বড়.. এই ছোটো ছেলে... চিনতে পারেন?
না....
বাঁচতে ইচ্ছা হয়?
...
এই মানুষে সেই মানুষ আছে
- না, হাওড়ার ব্রীজের উপর বামাখ্যাপা চড়ে বসে মা মা করছেন, তাই দেকচি... যত্তোসব…
- আহা, চটেন কেন? চা কি ঠাণ্ডা হয়ে গেছে?
- কেন?
...
কাদায় পা ডুবিয়ে
স্বপ্ন দেখেন?
দেখি।
কি দেখেন?
এই ধরুন গলায় দড়ি দিচ্ছি। সুন্দরবনে কাঁকড়া ধরতে গেছি বাঘে খেয়ে নিচ্ছে। সমুদ্রে নুলিয়া আমায় ডুবিয়ে দিচ্ছে। গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে মারা যাচ্ছি। চব্বিশতলা ছাদ থেকে ঝাঁপ দিচ্ছি।
ভয় পান?
ডিপ্লোম্যাসি
- তা দেখুন, আমাদের মধ্যে একটা কসমোপলিটান, সেক্যুলার ব্যপার আছে।
- মানে কি?
- কসমোপলিটান মানে আমরা নিজেদের বিশ্বনাগরিক মনে করি। পৃথিবীর যেখানে যা কিছু ঘটে আমরা প্রতিবাদ করি। সে প্যালেস্টাইন হোক, ভিয়েতনাম হোক, আমরা সারাটা বিশ্ব আমাদের দেশ মনে করি।
আমি কি একটা মানুষ!
- আমার কোথাও বেড়াতে যেতে ভালো লাগে না
- কি জ্বালা, লাগে না তো যাবেন না…
- ওভাবে বলছেন কেন? আপনারা এত জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার অ্যাড দেন, আমি একটাতেও যেতে পারি না, আমার একটা বিবেকবোধ নেই?…
- এতো ভারী মুশকিল হল... আমরা তো আপনাকে জোর করছি না রে বাবা…
শুভ বিজয়া
- দাদা, প্যাণ্ডেল কি খোলা হয়ে গেছে?
- না, কেন? লক্ষ্মীপুজোটা যাক তারপর তো।
- আচ্ছা।
- কেন?
- মাকে বাড়ি আনব। হুইল চেয়ারে আনব তো, ওইটুকু ফাঁক দিয়ে আনা যাবে না, তাই জিজ্ঞাসা করছিলাম।
আপনার জন্য লজেন্স নিয়ে আসি
মাঝে মাঝে নিজের জন্য মায়া হয়। নিজের উপর তৃতীয় ব্যক্তির মত মায়া লাগে। মনে হয় নিজের গালে নিজে একটা চুমু খাই। নিজে যখন ঘুমাই তখন মনে হয় নিজের মাথার কাছে জেগে বসে থাকি। নিজের মাথায় নিজেই হাত বুলিয়ে দিই। আপনার এরকম হয়?
জানি না, ভেবে দেখিনি। হয়, হয় তো।
মুক্তা হও
- আচ্ছা, আমায় বলো, মনকে যদি অকম্পিত স্থির প্রদীপের শিখার মতই করবার কথা ছিল তবে এত রূপ-রস-গন্ধ সৃষ্টি হল কেন? তোমার চাইতে তো গৌতমদাই ভালো কথা বললেন, প্রদীপ নিভিয়ে ফেলো, সেই হল নির্বাণ। তুমি তো বড় ফ্যাচাং করলে! এদিকে বলো প্রদীপ জ্বলে থাকুক, ওদিকে বলো কিন্তু সে যেন স্থির থাকে, বলি তাই কি হয়?
তাড়াতাড়ি এসো
- এদিকটায় সরে এসে বসো
- কত নাম্বারে নাম?