তাই নারায়ণ হলেন দুর্লভ, তিনিই হলেন সুলভ, নারায়ণ শিলা হয়ে। যিনি সর্বব্যাপী উদার, তিনি হলেন পুরোহিতের শাস্ত্রের বিধান বন্দী। নারায়ণ শিলার শিলা হল প্রধান, নারায়ণ হলেন গৌণ।
ইতিহাস সাক্ষী, মুখ্যের চাইতে গৌণ যখনই প্রধান হয়, তার অত্যাচারও হয় লাগাম ছাড়া। বাঁশের চেয়ে কঞ্চি দড় - কথায় আছে না।
আসল যা কিছু জন্মায় তাগিদ থেকে। নকল জন্মায় লোভে। আসলের আত্মাটা থাকে না সেখানে। আসলের গৌরবছটাতে তার লোভ। তাই নকলের মধ্যে আসলের ভঙ্গিটা থাকে, সত্যটা থাকে না। ক্রমে সে ভঙ্গির দাপট থাকে বাড়তে। দাপট হয় প্রায় অত্যাচারের সামিল। অতি আচার থেকেই না অত্যাচার!
আজ চারদিকে এত অনুকরণের অতি-আচার, এত উচ্চকলরব, এক এক সময় ভয় হয়, আসলটা তাগিদটা কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে, এ কথাটা চাপা দেওয়ার জন্য এত আয়োজন নয় তো?
অনুকরণ ক্রমে অভ্যাসে পরিণত হয়। অভ্যাস কালে হয় প্রথা। প্রথা থেকে জন্মায় দল। দল থেকে আমরা তোমরা। এবং সব শেষে পড়ে থাকে আমরা তোমরা। তেমন কিছু দেখছি কি চারদিকে?
নারায়ণে কোনোদিন ভয় পাইনি, কিন্তু বামুনের ঘরে জন্মেছি বলেই কিনা জানি না, ওই নারায়ণ শিলায় আমার বড় ভয়। কারণ ওই যে বললাম, নারায়ণ সেখানে হন গৌণ, শিলা হন প্রধান। আর বামুন হন সে শিলার কর্তা! ব্যস, আর পায় কে!