অনেকবার ছাদ আটকানো বদ্ধ চৌবাচ্চায় আটকে গেছি। নিজের মাথা ঠুকেছি চৌবাচ্চার ছাদে। হাত-পা ছুঁড়েছি উন্মাদের মত। বারবার মনে হয়েছে এই ঠুকতে ঠুকতেই মাথার উপর ঢাকনাটা খুলে যাবে, দেখতে পাব নীল আকাশ, শ্বাস নেব খোলা বাতাসে প্রাণভরে।
হয় না তা। নিজেরই মাথা ফাটা, হাত-পা ফাটা রক্ত চৌবাচ্চার জলে মিশে নিজের নাক-কান-মুখ দিয়ে ঢোকে।
যখনই মনে হয়, আর তো পারি না, এবার তো দমবন্ধ হয়ে শেষ শ্বাসটুকুও যাবে ফুরিয়ে….. তখনই….
ঠিক তখনই মনে পড়ে বেরোবার পথ। শেষ শ্বাসটুকু সম্বল করে দিই ডুব। প্রাণপণ খুঁজি জল নিষ্কাশনের পথ। পেয়ে যাই। ঠিকঠাক নীচু হলেই পেয়ে যাই। এক টানে খুলে দিই রাস্তা। বদ্ধ জলাশয়ে ওঠে আলোড়ন। বেরিয়ে আসি সেই ক্ষুদ্র রাস্তা দিয়ে মাথা নীচু করে, নিজেকে সংকুচিত করে। ভাসতে ভাসতে এসে পৌঁছাই খালে, নদীতে। উপরে মুক্ত আকাশ। মুক্ত বাতাস চারদিকে।
কেউ কেউ বলে, কী হে, চৌবাচ্চাটার কী করলে?
তাকে বলি, ফেলে এলাম। এমন অনেক শূন্য চৌবাচ্চা ফেলে এলাম ভাই, মুক্ত ভাসব বলে।