সৌরভ ভট্টাচার্য
14 February 2018
সেই গল্পটা মনে আছে? আমার আজ সকালে ফের মনে পড়ল।
মহাদেব তো ধ্যানে। ওঠেই না, ওঠেই না। এদিকে মহাদেব ধ্যান থেকে না উঠলে তাঁর বে হবে কি করে? আর বিয়ে যদি না হয়, পুত্তুর যদি না জম্মায় অসুর বধ হবে কি করে? দেবতারা তো মহা ফাঁপরে!
তখন বুঝয়ে সুঝয়ে মদনরে পাঠানো হল শিবের ধ্যান ভাঙাতে। বোঝো কাণ্ড!
তো হল কি, মদন চারদিকে "বসন্ত এসে গেছে" মার্কা পরিবেশ তৈরি করে ফেললেন। মারলেন পঞ্চশর দেবাদিদেবকে। ব্যস, আর যায় কোথা! মহাদেবের অমন গভীর ধ্যান ভাঙতেই তিনি বেজায় খাপ্পা। মেদিনী কেঁপে উঠল, বিনা মেঘে বজ্রপাত হল, আরো কত কি যে হল! মাঝখান থেকে মহাদেব দিলেন মদনকে ভস্ম করে। তারপরে অবিশ্যি মদনের স্ত্রী, মানে আমাদের রতিদেবীর অনুরোধে শান্ত হয়ে বর দিলেন মদন অনঙ্গ হয়ে, দেহাতীত রূপে সবার মধ্যে বিরাজ করবে।
তা আজকের দিনটা ভাবুন দেকিনি একবার। একে ফাল্গুনের প্রথম দিন তায় শিবরাত্রি। কেমন একটা গা ছমছমে ব্যাপার না? মানে ফের যদি বাবাজী চটেন আবার...অবিশ্যি অভিশাপ আর কি দেবেন? চারদিকে যা মদনের জয়জয়কার! তবে কিনা অ্যাদ্দিন মনের গভীর অন্ধকারে থাকতে থাকতে মদনের কিঞ্চিৎ বিকার উপস্থিত হয়েছে। দেখছেন না শিশু হতে বৃদ্ধা কেউ রেহাই পাচ্ছে না....
এখন মহাদেবই ভরসা। তিনি আবার পশুপতি, ভুতপ্রেতেরও নাথ কি না। মায় দৈত্যদানব অবধিও তাঁরে সমঝি চলে। তিনি যদি একটু মদনের ইস্ক্রুপগুলো ঠিক করে দেন..না, মানে বলছিলুম আর কি স্থান - কাল - পাত্র বলে তো একটা কথা আছেই, কি বলেন? সেইডাই মদনরে একটু বুঝানো, এই আরকি!