Skip to main content

উৎকণ্ঠা

মেঘলা আকাশ
   ছায়া ছায়া
      ভিজে ভিজে সবুজ এদিক ওদিক
বৃষ্টি বিরাম অবকাশে
   একবিন্দু বৃষ্টির জল 
  জানলার কার্ণিশে আটকে

শান্তি

রাত অনেক হল
ঘুম দরকার যে ভীষণ!

মানুষ ঘুমালে শুধুই মানুষ
ঘুমন্ত মানুষের ধর্ম থাকে না

ঘুম কে আনে?
আইন আনে না, পুলিশ আনে না

সে কি এই ভারতবর্ষ?

ওই যে মেয়েটা অভিসারে গেল
    ওর যেতেই হয়,
  মাথার উপর আকাশ ভাঙা মেঘ
      বাইরে ঝোড়ো হাওয়ার সাথে সন্দিহান কুতকুতে চোখ চারদিকে ঝোপেঝাড়ে

সময়

হঠাৎ করে সব ফুরিয়ে গেল
ঝরা পাতাটা তার সব বিস্ময়, সব বিহ্বলতা
     ছেড়ে আসা বৃন্তক্ষততে রেখে নেমে এলো

আগন্তুক

আগন্তুক 
তুমি গান থামিও না

সব বাঁকা হাসি 
ম্লান হয়ে আসে ধার হারিয়ে

পাতা হাত
গুটিয়ে আসার শক্তি পায়
          শূন্য হয়েও

অ-ভেদ

চাঁদ জানে না
 কবে সে ঈদের

পথ জানে না
 আজ সে জগন্নাথের

ঈদের চাঁদের আলোয়
    স্নাত হয় জগন্নাথ মন্দিরের চূড়ো

আত্মদানে

বিনা অভিযোগে পুড়লাম
   অবহেলায়, স্বেচ্ছায়

সমস্ত ছাই হল
তবু সবটুকু ছাইও যখন তোমার দিকেই উড়তে চাইল, 
      তখন

উদাসীন

স্টেশান আবার ট্রেনের অপেক্ষায় কবে থাকল?
নাকি বাসস্ট্যান্ড থাকে বাসের অপেক্ষায়?

অপেক্ষায় তো থাকে যাত্রীরা, যাদের যাওয়ার আছে 
   কোথাও না কোথাও, দরকারে- অদরকারে

অসহায়তা

আমার কিছু কিছু অসহায়তা তো
    আমি নিজেই বুঝি না
        তোমায় বোঝাব কি করে?

সুড়ঙ্গ

লোকটা দরজা বানাতে চায়নি
   শুধু কয়েকটা সুড়ঙ্গ বানিয়েছিল

Subscribe to কবিতা