কবিতা

ডাক্তার না নিন্দা করল, বিদ্রুপ করল, ঠাট্টা করল আত্মীয়স্বজনেরাই যখন মেয়েটার কলেজে পড়ার বয়স হল, অথচ সে স্কুলছুট, সমাজছুট হয়ে একলা হল তার অসংলগ্ন জগতের গুহাঘরে ডাক্তার না। বিজ্ঞান না। ভালোবাসা না। সহানুভূতি না। এক মুঠো অন্ধবিশ্বাস টিকটিকির মত মেয়েটার ছবিটা পাহারা দেয় ...

নিজেকে শোষিত হতে দেওয়া ছাড়াও
তার আরো অনেক কিছু পৃথিবীকে দেওয়ার ছিল
সেদিন তার শুধু একটা দীর্ঘশ্বাস পড়েছিল
...

আজীবন প্রশ্ন করে গেল লোকটা। সবাইকে। সময়কে, ধর্মকে, সমাজকে, প্রতিবেশীকে।

উত্তর পেল না।
কারণ মনের মত উত্তর সে খুঁজে পেল না। ...

কিছুই তো থাকে না চিরটাকাল
তবু বন্ধ মুঠোর এত জেদ কেন?
...

এই যে বারবার সিসিটিভি হতে চাওয়া
এই যে বারবার পাপোশ কিম্বা চিরুনি হতে চাওয়া
এই যে বারবার জামাপ্যাণ্ট, এমনকি ইনার অবধি হতে চাওয়া
এই যে মনের মধ্যে ঢুকে ম্যাজিশিয়ানের মত
...

এ তো হৃদয়
মাচা নয় বলো
যে তুমি প্রতিশোধ নেবে
শিকার করবে
একে তাকে ওকে
...

কেউ বলেনি
ভালোবাসতে হবে

তবু না ভালোবেসে কোনো রাস্তা পাবে না
দেখো
...

এই তো
একের পর এক সহ্য করে যাচ্ছি সব
বর্ষা বসন্ত গ্রীষ্ম শীত

এই তো
একের পর এক সহ্য করে যাচ্ছি সব
প্রেম, অপ্রেম, ঈর্ষা, অপমান, শোক

এই তো
সব সহ্য হয়ে যাচ্ছে
কপটতা, ছলনা, ষড়যন্ত্র, প্রতারণা

এই তো
সহ্য হয়ে গেল দেখো

আপ না ডাউন

কোন প্ল্যাটফর্মে বসলে বেশি ভিক্ষা পাবে
ঠিক করতে না পেরে
যে ভিখারিটা প্রথমে জ্যোতিষী
তারপর ঈশ্বরের কাছে গিয়েছিল
...

তুমি তো এক বিন্দু জল
তর্জনীর মাথায় নিয়েও
সেখানে আকাশের ছবি খুঁজতে
আমি এক সমুদ্র জলের সামনে দাঁড়িয়েও