Skip to main content

মাটি

রজনীগন্ধার দিকে গোলাপ চেয়ে বলল,
আমার কই অমন সৌরভ?

গোলাপের মুখে চেয়ে রজনীগন্ধা দীর্ঘশ্বাস ফেলল-
আমার কই অমন রঙ?

ঘাস দুজনের কথা শুনে নিজের দিকে তাকাল, হাসল, বলল-
ভাই আমার না আছে রঙ, না আছে বাস
আমার আছে যা, তা তোমাদেরও তো আছে
যা সব চাইতে খাঁটি-
গোলাপ সাথে রজনীগন্ধা বলল-
কি?
ঘাসের দল সমস্বরে বলল-
মাটি মাটি মাটি....

এ হৃদয়

এ হৃদয় বারোয়ারী আজ
কোথায় কখন কার খোঁজে থাকে
                   খেয়াল রাখি না আর
ওর কান্না হাসি আশা হতাশা খুব চেনা আমার
বিশ্বাস করে ঠকে যাওয়া
বিশ্বাস না রাখতে পারা
           এগুলো জলভাত এখন আমার কাছে

কবে?

মেসেজ আসার শব্দে
ফোন আসার শব্দে
কলিংবেলের শব্দে
কবে মিশেছো?

বাইরে রাখা জুতোর তাকে
আলনায় কাপড়ের মাঝে
চশমার খোলা খাপে
কবে ঢুকেছো?

আমার চায়ের কাপে
উড়ন্ত চুলের ফাঁকে
আমার ঘামের গন্ধে
কবে এসেছো?

আমার টুথপেস্টের ভাগ
মাথার বালিশের ভাগ
একফালি অবকাশের ভাঁজ
কবে চেয়েছো?

বৃত্ত

সবই আছে, সবই হচ্ছে
তবু কোথায় যেন
একটা ছেড়ে যাওয়ার ব্যাথা
একটা শূন্যতা,
তরী মাঝ সমুদ্রে বলে?


জানি না।
এত গতি, এত টানাটানি, কাড়াকাড়ি
হাসি কান্না আশা হতাশা - সব কোন কালের গহ্বরে হচ্ছে লীন?

সেখানে গেলে কি আমার ফেলে আসা অতীতের সাথে আবার হবে দেখা?

কেউই জানি না।
তবু মনে হয়,
মন বোধহয় কিছুটা তার আভাস রাখে।

তখনই বাধে গোল

অনেকে বাড়ির সামনের দরজার সাথে সাথে পেছনের দরজাও রাখে খোলা,
চালাকি করে।
যারা সামনে দিয়ে আসতে না পারে
তারা ঘুর পথে পিছনের দিক দিয়ে ঢোকে নির্দ্বিধায়।

মাঝে মাঝে -
কিছু পেছনের দরজা দিয়ে ঢোকা লোক সামনের দরজা দিয়ে ঢুকতে যায়
আচমকাই, অন্ধকারের ধাঁদায়
আর তখনই বাধে গোল।

যে মানুষটা

যে মানুষটা ডান হাতে সৎ
আর বাঁ হাতে অসৎ
তার কোন পাশে থাকব?

তুমি বললে, এমন মানুষ হয় নাকি?

বললাম, কোন মুখে বললে?
বাঁদিক ফেরানো মুখে
না ডান দিকে ফেরানো মুখে?

তুমি বললে, মানে?

বললাম, মানে?
বুঝলে না,
না বুঝতে চাইলে না?

তোমারই মত

মন খারাপ আমারও করে
তোমারই মত।

মাঝে মাঝে সব ফেলে দিই ছুট-
আমিও ভাবি
তোমারই মত।

মাঝে মাঝে হাতের ঘামে
হাত পিছলে থুবড়ে পড়ি
তোমারই মত।

বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজেছি আমিও সেদিন
তোমারই মত।

সব ছেড়ে দিয়ে বাঁচতেই চাই
বেঁচে থাকাটাই সুখ বুঝি আজ
তোমারই মত।

এবার আসলে

এবার আসলে
পায়ের নূপুর খুলে এসো


তুমি চলে গেলেও
ওদের আওয়াজ যেতে চায় না

এবার আসলে
গায়ে সুগন্ধী দিয়ে এসো না

তুমি ফিরে গেলেও
ওরা আমার চারপাশ ঘিরে ফেরে

এবার আসলে
কোনো কথা বোলো না

তুমি ফিরে গেলেও
কথাগুলো সব এ পাশ ও পাশ ভাসে

কে যেন

কে যেন বলে গেল-
ভাঙা-তালি জোড়া দিতে দিতে
কত বেলা হল খেয়াল আছে?


মুখ তুলে চাইলাম

কেউ কোত্থাও নেই

আবার শুনলাম-
বাইরে যা পাবে,
তা খণ্ডিত, ক্ষুদ্র, অসম্পূর্ণ।
খোঁজ ভিতরে,
পাবে তাঁকে
যিনি অখণ্ড, মহৎ, পূর্ণ।

অবশ হল শরীর মন
ভাঙা টুকরোগুলো পাড়ে রেখে
নদীতে ডুব দিলাম।

ইচ্ছা

অকারণে সে লজ্জা পাচ্ছে আজ থেকে থেকেই
ফর্সা কানদুটো লাল টকটকে হয়ে উঠছে গরম হয়ে
রান্না করতে করতে ঠান্ডা জল কানে ঠেকাচ্ছে, 
                                ঠোঁটের কোণে হাসি

Subscribe to কবিতা