'আকালের সন্ধানে' বলে মৃণাল সেনের একটি সিনেমা আছে। বেশ ছোটোবেলায় দেখতে বসেছি। মানে যখনও মস্তিষ্কে আঁতেল কোষ জন্ম নেইনি। বিষয় হল, একদল মানুষ শুটিং করতে গেছেন গ্রামে আর সে গ্রামের দুর্ভিক্ষ অনাহার নানা ঘটনা ইত্যাদি। বুঝলামই না সিনেমাটা কখন কিভাবে শুরু হল আর কিভাবে কখন কেন শেষ হল। এরকম অনুভূতি পপকর্ণ ও ইডলি খেলেও হয়। ও মন কখন শুরু কখন যে শেষ কে জানে....তো সিনেমাটা দেখার পর নিজেকে কেমন মেলায় গিয়ে কিচ্ছু কিনে না দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়ার মত লেগেছিল।
ইদানীং আমার এক বিশেষ ভাষণ শুনে ওরকম বোধ হয়। সেই ছেলেবেলার অসহায় কনফিউজড মুখটা মনে পড়ে। টিভির সামনে বসি। শব্দের পর শব্দ ফিরিয়া যায় হৃদয়ে নাহি পায় সাড়া। হৃদয় মস্তিষ্কের দিকে, মস্তিষ্ক হৃদয়ের দিকে হাঁ করে তাকিয়ে ভাবে, ও মন কখন শুরু কখন যে শেষ কে জানে... সেই যেন হাওয়াই মিঠাই... মুখে দাও মিলিয়ে যাবে..... কানে নাও... মিলিয়ে যাবে.... মনের খাতার পরে রেখামাত্র চিহ্ন রাখিবে না.... তবু শুনি... একদিন না একদিন তো বুঝব... এত শব্দের মানে কি…
বলতে বলতে আমার এক দুষ্টু জোকসের কথা মাথায় এলো। একজন সর্দারজী এক সিনেমা রোজ দেখতে আসে। তো হলের টিকিট পরীক্ষক জিজ্ঞাসা করল, তুমি রোজ কেন আসো?
তখন সর্দারজী বলল, আরে একটা সিন আছে না, মেয়েটা স্নান করার জন্য নাঙ্গা হতে শুরু করবে...
টিকিট পরীক্ষক বলল, হ্যাঁ আছে, তো?
সর্দারজী উত্তেজিত হয়ে বলল, আর তক্ষুনি একটা ট্রেন যাবে যে কিচ্ছু দেখা যাবে না....
টিকিট পরীক্ষক বলল, হ্যাঁ, তো?
সর্দারজী থাই ঠুকে বলল, আরে একদিন না একদিন তো ট্রেন লেট করবেই.... হো হো হো.....