Skip to main content

ভগিনী নিবেদিতা

বুদ্ধ মানে মহাবোধি সোসাইটি নয়। খ্রীষ্ট মানে ভ্যাটিকানসিটি নয়। রবীন্দ্রনাথ মানে শান্তিনিকেতন শুধু নয়। প্রদীপ জ্বালতে মাটির পাত্র, সলতে, তেল লাগে। কিন্তু আলো শুধু প্রদীপের হয় না। আলো হয় সকলের।

প্রতিষ্ঠানের ঊর্দ্ধে গিয়ে শুধুমাত্র উপলব্ধ সত্যের জোরে মানুষটা দাঁড়াতে পেরেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় -

ভক্তি গতপ্রাণা

হার বয়েস হইয়াছে ষাটের উপর। তিনি ভক্তি গতপ্রাণা। তিনি ফোনে আলাপ করিয়াছেন আমার সহিত। সাক্ষাৎ হয় নাই কদাপি। ভাগ্যে তিনি ফেসবুকে নাই।
আমায় খানিক আগে ফোন করিলেন।

জেলিফিশ

আমরা যখন প্রকাশ্য রাস্তায় নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ধর্ষণ ব্যাপারটা মেনেই নিয়েছি, তখন আসুন না, আমাদের সংবিধানে ধর্ষণটাকে বৈধ ঘোষণা করে দিই। অকারণ তবে এই খবরগুলো আর পড়তে হয় না, জ্বলতে হয় না। রাস্তায় যেখানে সেখানে প্যান্টখুলে হিসি করার মত ব্যাপারটাকে ইজি করে নিই।

সুরাসুর

যথারীতি এ বছরও মা দুগ্গা গট-আপ কেস করে, একটা আই ওয়াশ করে বেরিয়ে গেলেন। একখেন অসুরও মারা গেল না। বিশেষ করে কাল রাতে বেপাড়ায় নবমীর নিশির মদো নৃত্যের হুল্লোড় কথাটা প্রমাণ করেই ছাড়লে। এই সুরার মত অসুর সংসারে খুব কম আছে। কত মানুষকে অমানুষ, অমানুষ থেকে মহিষাসুর হতে দেখলাম তার ইয়ত্তা নেই।

৬৫ ডেসিবেল

হেমন্ত, মান্না, কিশোর, আশা, লতা ইত্যাদি নিরীহ মানুষগুলোর অসামান্য প্রতিভাও যে কি প্রবল ভয়ংকর হতে পারে তা ফের টের পাওয়ার সময় শুরু হল। ৬৫ ডেসিবেলের নিকুচি করেছে। লাগাও গান...ফাটুক পর্দা..মরুক বুড়োরা...."শালা এই কদিনের তো মামলা একটু সামলে নিন না কত্তা!!!"

বর্ণপরিচয়

১৯ পাঠ

গোপাল অতি সুবোধ (বা)লোক। সে কাহাকেও ধর্ষণ করে না। যাহার সহিত তাহার বৈবাহিক সম্পর্ক তাহার ইচ্ছার বিরুদ্ধেও যৌন সংসর্গ করে না। যাহা পায় তাই খায়, যাহা পায় তাই পরে। ভাল খাব, ভাল পরিব বলিয়া অফিসে ঘুষ নেয় না। সবার আগে অফিসে যাইয়া নিজের কম্পিউটার খুলিয়া বসে। মন দিয়া কাজ করে। দ্বিপ্রহররের কর্মবিরতির সময় বন্ধুদের সাথে গল্প করে, ফেসবুক করে, ওয়াটস অ্যাপ করে। কোনো মহিলা কর্মচারীর সহিত অসভ্য ব্যবহার করে না। কাউকে কোনো ঘরে আলাদা ডাকিয়া লইয়া নিজের পদের ও অঙ্গের অসদ্ব্যবহার করে না। বাড়ি ফিরিবার কালে কি অফিস যাওয়ার কালে ট্রেনে বাসে নিজের হাত, জিভ ও চোখের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। ট্রেনে পর্ণ দেখে না। কাহারও কোনোরূপ উদ্বিগ্নতার কারণ হয় না। বাড়ি ফিরিয়া আসিয়া কিছুক্ষণ টিভি দেখে। স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের সহিত গল্প করে। বন্ধুদের আড্ডায় যায় আবার বেশি দেরি না করিয়াই ফিরিয়া আসে। রাতের খাবার পরিবারের সাথে একসাথে খাইয়া শুইয়া পড়ে। ...

মূর্তিগুলো

এই মূর্তিগুলো দুদিন আগেই মণ্ডপ আলো করেছিল। মন্ত্র, স্তব, আরতি, ভোগ, মালা, চন্দন, ভক্তি - সব এই মূর্তি কেন্দ্র করেই (অশালীন আচরণ ভক্তির নামেও প্রবল, সে না হয় অপসংস্কৃতি। তা তো শাস্ত্রে লেখা ছিল না।)
        আজ সেগুলো সার দিয়ে গঙ্গার তীরে রাখা। মাটির সাথে মিশে যাবে, বৃষ্টির জলে ধুয়ে। তবে কি হিন্দু মূর্তিপূজক? পৌত্তলিক? তবে এরা এত অনাদরে অবহেলায় কেন?

এও আরেক দেবীপক্ষ

এও আরেক দেবীপক্ষ
"যে সব মহিলাদের দেখতে ভালো নয়, মানে সেই অর্থে সেক্স অ্যাপিল কম, তারাই নারীবাদী হয়ে মিছিল মঞ্চ করে বেড়ায়।"
বক্তা একজন মহিলা। তিনি জিজ্ঞাসিতা হয়েছিলেন, কেন এত সং এর মত সেজেগুজে কুমারটুলিতে পোজ দিয়ে ছবি তুলে তুলে ফেসবুকের পেজ ভরানো। সেকি পণ্য, না বিজ্ঞাপন?

Subscribe to হাল হকিকৎ