গুরু কাঙাল জানিয়া পার কর
আজ সকাল থেকে নির্মলেন্দুবাবুর একটা গানই মনে পড়ে যাচ্ছে - সর্প হইয়া কাটো গুরু, ওঝা ঝাড়ো....
কথা হল, কেন মনে পড়ছে?
পঁচিশে বৈশাখ
গীতায় পড়েছিলাম, শ্রীকৃষ্ণের বিশ্বরূপ দর্শনের ঘটনা। তা অর্জুন তো অত অত ভয়ানক মূর্তি দেখে আঁতকে উঠে, হাতজোড় করে শ্রীকৃষ্ণকে বারবার রিক্যুয়েস্ট করে "মনুষ্য" রূপ দেখলেন এবং আশ্বস্ত হলেন। কিন্তু আমার কি হবে?
আমায় লজ্জা দিও না
উনি হয় তো একটাই কথা বলতেন,
লড়াই চলছে
শুধু জ্বলন্ত শ্মশান তো নয়
শুধু মৃত্যুর সংখ্যাও তো নয়
লড়াই চলছে
কেউ গলা উঁচিয়ে
শিরা ফুলিয়ে
মুষ্টি বাগিয়ে বলুক
খবরের কাগজে
প্রথম পাতায় বলুক
একি শুনি
ও দাদা, ও মহারাজ
একি শুনি
বন্ধ নাকি আইপিএল
দেশের ভাগ্যে একি খেল!
"আইপিএল না হলে দেশের লোকে হত পাগল"
এই তো সেদিন
এই তো সেদিন
মঠে এসে রাত কাটালেন
সবাই বলল,
ফকিরি নাকি ওঁর স্বভাবে
মোহ
"আমরা চিরটাকাল মানুষের পাশে আছি"।
এও এক মোহ। এও এক অহংকার। এও এক মিথ্যাভাষণ।
"আমরা জীব উদ্ধার করব, আমরা বিপথগামী মানুষকে ঈশ্বরের পথে আনব। আলো দেখাব।"
এও আরেক মোহ। আরেক অহংকার। আরেক মিথ্যাভাষণ।
দিশা
ইহাই রামের জয়
রামকৃষ্ণ হাসি কয়
ধর্মে ধর্মে ভেদাভেদি
এ মাটিতে নয় নয়
জয় রাম, মহাবীর
চিদাকাশে রহো স্থির
ক্ষমতালোলুপ চিত্ত
নহেরে রামেতে ধীর
রাজা এবে মন দাও
প্রজা ভুলি কেন ধাও ইতিউতি
হরিল গরব রামে
এবে ধরো ধর্ম হালে
আসুক ফিরিয়া শুভমতি
মুখ দেখাব কি করে
আজ এক খুদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। সে গল্প করতে করতে বলল, আজকে আমি ক্রিম দেওয়া বিস্কুট খেয়েছি....জানো তো, আমি যখন স্কুলে যেতাম, তখন মা টিফিনবক্সে আমায় এই বিস্কুটটা মাঝে মাঝেই দিত..
মৃতদেহের সাক্ষী
মঙ্গলগ্রহে রকেট পাঠাতে চাওয়া একটা দেশ, বুলেট স্পিডে ট্রেন চালাতে চাওয়া একটা দেশ, ৫জির স্বপ্ন দেখা একটা দেশ, ডিজিটাল হতে চাওয়ার বাসনা রাখা একটা দেশ....