Skip to main content

শূন্য আনন্দ ভালোবাসা

ভালোবাসার গায়ে একটা রঙীন চাদর জড়ানো থাকে। সেই চাদরটা হয় ঝড়ে উড়ে যায়, নয় পোকায় কাটে, কখনও বা আগুন লাগে।

সীমা

কোনো এক মুহূর্তে মানুষটা বুঝতে পারল, যে সমুদ্রটা দেখবে বলে সে এতটা পথ অক্লান্ত পাড়ি দিল, সে সমুদ্রেরও একটা সীমা আছে। 

মৃত্যু তোমায় বলছি

টিলাটার উপর কবে উঠেছিলাম মনে নেই। তবে তোমায় আরো কাছ থেকে দেখব বলে উঠেছিলাম এতদূর মনে আছে। এই নির্জনে নিজেকে নির্বাসিত করে রেখেছিলাম শুধু তোমায় আরো কাছ থেকে জানব বলে। হ্যাঁ মৃত্যু তোমাকেই বলছি।
...

আবার তো নামতে হবে

কেউ যেন খানিক পরেই উঠবে কন একটা ছাদে, বাড়ির সবার খাওয়া হয়ে যাওয়ার পর নিজে খেয়ে, ভিজে কাপড় মেলতে, কিম্বা শুকনো কাপড় তোলার আছিলায় কিছুক্ষণের জন্য একা হতে, নিজেকে খুঁজে পেতে...

নারী নাকি সমাজ?


মেয়েটার স্বামী ফুলশয্যায় মদ্যপ হয়ে এলো। গরীব হলে এমন হয়। সমাজ উদাসীন।
সংসারের জোয়াল মেয়েটার ঘাড়ে। স্বামী মাতাল, উদাসীন। পরিবার উদাসীন। পাড়া উদাসীন। সমাজ হাই তুলে সমাজোদ্ধারকদের সাথে ঘোরে, শিথিল পায়ে।

যাঃ

প্রজাপতি চাইল মধু

প্রজাপতি চাইল মধু।
ফুল বলল, নাও।
প্রজাপতি বলল, মূল্য কি দেব?
...

থাপ্পড়

বিছানায় আলকুশি ছড়িয়ে তাকে নিয়ে ছাদে যাও। আকাশের দিকে তাকাতে বলো তাকে। তুমি তার চোখের দিকের তাকাও।
দেখো, সে মুগ্ধ হচ্ছে কিনা? যদি দীর্ঘশ্বাস ফেলে, জানবে ওর ভিতরে চাপা একটা গরম হাওয়ার মত দুঃখ মিলিয়ে গেল। আকাশ কখনো গরম হয় না। তাই সব গরম হাওয়া টেনে নিতে পারে।

চিল

দরজায় তালা দিয়ে একবার এদিকে এসো। তালাটা টেনে দেখেছো তো? ঠিক আটকানো তো?
ঠাকুরঘরের জানলাটা দেখেছো? ভালো করে ছিটকিনি দিয়েছো?
ছাদের দরজা? পিছনের দরজা?....
    ঘুমের ওষুধটা দাও এবার। কাল রাতেও এটা খেয়ে ঘুম আসেনি। বরং দুটো দাও বা তিনটে।
       হ্যাঁ গো, রাত কটা এখন? আড়াইটে। একবার মেয়েটার ঘরে যাও না। দেখো তো সব ঠিক আছে কি না?

প্রকৃতি


পুকুর পাড়ের ঝোপের নিবিড় যে অন্ধকারটা, আমার খুব চেনা। সামনের বাড়ির ছাদে নারকেল গাছটার পাতার বড় ছায়াটা লুটিয়ে আছে, সেও আমার খুব চেনা। হাল্কা হওয়ায় পুকুরের বুকে যে শিরশিরানো ঢেউ ওঠে, তাদের প্রত্যেক ঢেউটাকে আমি জানি।

Subscribe to গদ্য কবিতা