Skip to main content

অনেকটা রাস্তা ভিড়ে একা একা হেঁটে ফেললাম। শীতের আমেজ।

"দাদা টয়লেটটা কোথায় বলবেন?"

কাঁচরাপাড়া। ব্যস্ত শহর। ব্যস্ত বাজার। ব্যস্ত ছন্দে প্রাণোচ্ছল আনন্দ লহরী।

গলির ভিতর জন্মে আছে আরেক গলি। বাঁকের পর বাঁক। অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ। পাবলিক টয়লেট।

কালো চাদর মুড়ি দিয়ে নিজেকে আদ্যোপান্ত ঢেকে বসে একজন। সামনে বোঁচকাবুচকি ঘেরা একহাতি সংসার।

মাথার উপর লোহার বড় বড় রডের ফাঁদে আটকে আসন্ন পূর্ণিমার চাঁদ। রডগুলো ধরে দাঁড়িয়ে আছে বিজ্ঞাপন। সারা গা গয়না গায়ে আধশোয়া এক রমণী। অর্ধনগ্ন। ন্যায্য দাম ছাড়া যারা সোনা বিক্রি করে না। তারাই সাজিয়ে দেবে মনের মতন। দুধেল সাদা আলোর বন্যায় ভাসা প্রতিশ্রুতি।

এক কাপ কফি। ধোঁয়া উঠছে। হাতের চেটো পয়সা দিয়ে কেনা তাপে সেঁকে নিতে নিতে দেখছি গ্যাস বেলুনের সুতো চেপে ধরা বাচ্চার উদ্বিগ্ন খুশীর মুখ। তার আরেক হাতে ভিজে চকোলেট। সুখ চিনছে।

ফেরার পথ। দেখছি সবার হাতে একটা করে গ্যাসবেলুন। যে সুখে উদ্বিগ্নতা নেই, সে সুখ কি আদৌ সুখ! আঙুলে প্যাঁচনো সুতো বলল, না। অহংকারে।

আকাশ ছুঁয়ে থাকা চাঁদ, কম্বলে মোড়া ঝাঁঝালো গন্ধে বাঁচা মানুষ এক্কাদোক্কা খেলছে। উদাসীন। খেয়াল করছে না কাউকে। অপেক্ষা করছে বাজার বন্ধ হওয়ার। আলো নিভে যাওয়ার। সারাটা বাজার যখন তাদের। খেলবে উদোম। এক্কদোক্কা। লুকোচুরি। কিম্বা ছোঁয়াছুঁয়ি।

কেউ জানবে না। হয় তো বা।