তিনি জল খেতে উঠলেন মধ্যরাতে। জল খাওয়ার আগে খাবি খেলেন। কারণ দেওয়াল জোড়া দুটো চোখ। অপলক তাকিয়ে তার দিকে। কে? কে? কে উনি?
উনি দরদর করে ঘামতে ঘামতে খাটে বসলেন। ঘামতে ঘামতে বিচার করলেন, কে এলো ঘরে....কী করে এলো....দরজা তো বন্ধ.... কে? কে? কে ও?
আলোর সুইচটা একটু দূরে। অনায়াসে হাত যায়। এখন যাচ্ছে না। হাত বাড়ালেই যদি হাতটা চেপে ধরে? যদি কামড়ে দেয়?
কিন্তু উপায় তো নেই। এইভাবে তো সারারাত বসে থাকা যায় না!
উনি হাতটা এগোলেন। আলো জ্বাললেন! আলো জ্বলল।
হায় ঈশ্বর! ইনি যে জগন্নাথ! পুরী থেকে কিনে আনা, দেওয়ালে টাঙানো সে ছবি এই আঁধারে এমন ভয়ানক হয় হয়ে গেল?
এ গল্পটা শুনতে শুনতে আমার গুপী গাইন বাঘা বাইনে ভূতটার কথা মনে এলো। তারও তো এমন গোল গোল চোখ। সেও কী তবে পুরী ঘুরে এসেই আঁকা!
তিনি আলো নিভিয়ে আবার শুতে গেলেন। এবার ভয় করছে না। ওই তো দুজোড়া চোখ। কিন্তু এখন আর ভয় নেই। তিনি ভাবলেন, ভাগ্যিস হাতটা ভয়ের হাত থেকে ছাড়িয়ে আলোর সুইচ অবধি নিয়ে গিয়েছিলাম। নইলে স্বয়ং জগন্নাথ হয়ে থাকতেন ভয়ের কারণ। ভয় থেকে আলো অবধি হাঁটাটা যে কী কঠিন কাজ.... নিজেকে ডিঙিয়ে নিজেকে নিয়ে এগোনোর মত কঠিন পরীক্ষা আর কী আছে জীবনে?
তিনি ছবিটা পাঠালেন। অন্ধকারেই তোলা। দেখা যায়? Suman Das