যখন ঢাকি ফিরে গেল, বধির বাচ্চাটা কিছু বলেনি। যখন রাস্তার আলোগুলো খুলে নিল একে একে, তাদের এক চিলতে বারান্দাটায় আবার এসে দাঁড়ালো গুমোট অন্ধকার, তার চোখ ছলছল করে উঠল।
=======
পুরোনো জামা নিতে আসা ঢাকির দুই মেয়ে, অপেক্ষা করছিল কোন বাড়ি থেকে তাদের মাপের দুটো জামা আসবে। এলো না। বড়বোন চাইছিল ছোটোবোনটা অন্তত পাক। পুজোর একদিন সে-ই তো সামলে রেখেছে বোনকে। পঞ্চপ্রদীপের শিখার তাপে হাত বুলিয়ে রেখেছে ছোটোবোনের মাথায়। মা কি এইটুকু প্রার্থনা শুনবেন না? পাবে না একটাও পুরোনো জামা?
পেল না। বড়বোনের কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে ছোটোবোন। লোকাল ট্রেনে। বাড়ি ফিরছে। বাবা বসে দরজার কাছে। কিছু লুঙ্গি, গেঞ্জি, শাড়ি পেয়েছে। পুরোনো।
একটা বাচ্চা মেয়ে উঠল ভিক্ষা চাইতে। ছোটোবোনের থেকেও ছোটো। ছোটোবোন ঘুম থেকে জেগে ভিক্ষারত বাচ্চামেয়েটার ছেঁড়া ফ্রকটার দিকে তাকিয়ে। দিদির দিকে তাকিয়ে বলল, তোর কাছে পয়সা আছে রে দিদি?
দিদির চোখ ফেটে জল এলো। মা'কে বলল, চাইলে দিস মা। ফেরাস না।