আরতি শেষ হল। সবাই পঞ্চশিখায় দশ আঙুল ছড়িয়ে উষ্ণ আশীর্বাদও নিল। তারপর একজন বৃদ্ধ ভদ্রলোক আপাদমস্তক সাদা শালে জড়িয়ে চোখ বন্ধ করে সবার "জয়" দেওয়া শুরু করলেন। চৈতন্য মহাপ্রভুর জয়, নিত্যানন্দের জয়, ষড় গোস্বামীর জয়, জগন্নাথের জয়.... সবাই সুর মিলিয়ে বলে যাচ্ছেন "জয়.. জয়"।
হঠাৎ শুনি উনি বলছেন, চায়ের দামের জয়!
ভোরের আড়ষ্টভাব মুহূর্তে কেটে গেল। সেকি! এতদিনে এমন কাউকে পেলাম যিনি পারমার্থিক দৃষ্টিতেও চায়ের মাহাত্ম্য উপলব্ধি করেছেন! আহা আহা! মনে হল শীগগির গিয়ে ওঁকে আলিঙ্গন করি। আর বলি যে, প্রভু, স্বয়ং মহাপ্রভুও যে চায়ের দামের জয়ের শুনতে এত উৎসুক জানতাম গো!
পরেরদিন আবার সাততাড়াতাড়ি আরতিতে গেলাম। আজ জয় দিচ্ছেন অন্য জন। যুবক। তিনি উচ্চারণ করলেন "চারধামকি জয়"।
আমি আবার কান পেতে শুনলাম। তিনবারই চায়ের দাম না, চারধামের জয় বলছেন! ব্যস, সমস্ত আশা গেল ভেঙে। বুঝলাম, আশার ছলনে ভুলি কি শ্রবণ করিনু হায়! চায়ের দাম আসলে চারধাম!! হায় হায়!