পিঁপড়ের সারি
পিঁপড়ের সারি ডিম মুখে করে
দেওয়াল বেয়ে উঠছিল
আকাশ ছেয়ে কালো মেঘ এলো।
জল বলল, ডুবিয়ে দেব
বাতাস বলল, উড়িয়ে দেব
মানুষ বলল, হারিয়ে দেব।
পিঁপড়ের সারি ডিম মুখে করে
উঁচু গর্তে বসেছিলো।
জল থামল
ঝড় থামল
মানুষ ভুলল
পিঁপড়ের সারি ডিম মুখে করে
দেওয়াল বেয়ে ফিরছিল।
চোখের কাজল
চোখের কাজল চোখকে বলল-
আমার জন্যই তোর রূপ ভাই
চোখ বলল, হ্যাঁ-
অপর জনের চোখেই শুধু পড়া চাই
উইয়ের দাগ
ইঁট বেরোনো বারান্দায়
হাড় বেরোনো মানুষটা
বেতের চেয়ারে বসে।
চেয়ারের নীচে ঘুণের শব্দ
দেওয়াল জুড়ে উইয়ের দাগ।
বোসো
রোদ পড়ছে সবুজ পাতায়
সবুজ পাতা রোদকে বলল-
এসো।
কেউ খেলছে
কেউ খেলছে
তবু খেলছে না
কেউ খেলছে না
তবু খেলছে
চোখের কোণায়
চোখে জল আসেনি এখনো।
তবে আসত।
চোখ বোঝার আগে,
তুমি বুঝলে কি করে?
সে জল তোমার চোখের কোণায়
এমনিই ভালোবেসে
একটা ছোট্ট ঘাস
রাস্তার ধার ঘেঁসে
চাকার, পায়ের ধূলো
তাকে ঢেকেছে একশেষে।
হঠাৎ একবিন্দু জল
আকাশ থেকে এসে
ধুইয়ে দিয়ে গেল তাকে
এমনিই ভালোবেসে।
মা
একটা বাচ্চা পার্কের স্লিপে
উঠছে হাসছে নামছে
মা দাঁড়িয়ে দেখছে।
স্লিপের নীচে মা কুকুরটা
বাচ্চাগুলো নিয়ে ঘুমোচ্ছে।
বিশ্বাসহীন
বিশ্বাসহীন উদ্বাস্তু একটা মানুষ
সকাল থেকে চৌকাঠে দাঁড়িয়ে
ওর বাইরে যেতে ভয়
ওর ভিতরে থাকতে সংশয়।
জানলা
খোলা জানলা
বাতাস এলো তোমার গন্ধ নিয়ে
বন্ধ জানলা
আমার গন্ধে বাতাস উঠল ভারী হয়ে