সৌরভ ভট্টাচার্য
 15 May 2019              
    
         বলি কি, এ না শাপে বর হল। মানুষটার চেয়ারে বসে বসে হাত-পায়ে জং ধরে যাচ্ছিল। এমনকি জন্মদিনেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বহুদিন, কয়েকটা যান্ত্রিক লোক-দেখানি কায়দাকানুন ছাড়া। তারপর যে বইগুলো লিখেছিল, কেউ পড়ে ওসব বই? ম্যাগো, তাই কেউ পড়ে? ওই গরীবের বাচ্চারা দেওয়াল খসা ক্লাসরুমে ভাঙা কাঠের বেঞ্চে বসে পড়ে। বাকিরা সব এ ফর অ্যাপেল দিয়ে শুরু করে, তাই না? কটা বাংলা স্কুল উঠে গেল না? না যাব যাব করছে? তার একটা তালিকা ছাপা হয়েছিল না? হে হে, তবে আর কি? যে ভাষাটার জন্য মানুষটার পেরান অমন তপ্ত লোহায় হেঁটে রাস্তা বানিয়েছিল তার কি ছেরাদ্ধ করেছি কি আর বলার বাকি আছে? সে আমাদের শখের ভাষা এখন। আমাদের 'কনসিডার' করে, উচিত বোধ থেকে দয়াদাক্ষিণ্য করে শেখার ভাষা এখন। হ্যাঁ গা, মানুষের আত্মা মরলে তার শরীরটা কোন জন্মে বেঁচে থাকে, শুনেছো এমন বে-আক্কেলে কথা? 
       হুঁ, আমাদের আবার গর্ব করার বস্তু একটি না একটি চাই। কেন গর্ব করছি না বুঝলেও হল। কি করতে চেয়েছিল না বুঝলেও হল। কি করতে বারণ করেছিল না বুঝলেও হল। শুধু গর্ব করতে চাই।
       তবে কি আমি অমন দুষ্ট কাজকে সমর্থন করছি? মোট্টেও না। খুব খারাপ কাজ। তবে আমি বলতে চাইছি এই কাজটা নিঃশব্দে, প্রতিদিন অল্প অল্প করে আমরা কি বহুদিন যাবৎ করছি না? আধুনিক, চলনসই, যুগোপযোগী হয়ে ওঠার জন্য? তারা শুধু আমাদের অহং এ আঘাত হেনেছে বলেই না এত শোরগোল আজ..কিন্তু যদি বিবেকের দিকে তাকাই? সে মুখ টিপে টিপে হাসছে আর বলছে..তাই নাকি? এত দরদ!!! জয়গুরু।