গতবছর প্রথম অনুভব করেছিলাম লকডাউন কি। নানা সমস্যার মধ্যে আমায় যেটা সব চাইতে ভাবিয়েছিল বাচ্চাগুলোর মানসিক অবস্থা। মনে হয়েছিল ওদের জন্য কিছু একটা করা উচিৎ। সেই সময়ে আমার মানসলোকে বুকু জন্মালো। আমি হলফ করে বলতে পারি আমি এতদিন ধরে যা লিখে আসছি তার মধ্যে আমার প্রাণের সব চাইতে কাছে বুকুর এই গল্পটা - বাঘের গল্প বাঘের মুখে।
লেখাটা ধারাবাহিকভাবে লিখেছিলাম। সত্যি বলতে লেখাটা শেষ হয়ে যাওয়ার পর আমার রীতিমতো একটা বিষাদঘন মানসিক অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল বুকুর সঙ্গে আমার আর দেখা হবে না বলে।
সুমন বুকুকে আবার অন্যভাবে আজ নিয়ে এলো। অক্ষর থেকে বুকু উচ্চারণে জন্ম নিল। পুরো কাজটা সুমন একাই করেছে। কি অসীম ধৈর্য নিয়ে কাজটা করেছে সে আমিই কেবল জানি। আমাকে যারা চেনেন মোটামুটি সুমনকেও তারা চেনেন। আমার এই ফেসবুকে লেখালেখিতে আসাও ওরই উৎসাহে, সে কথাও আমি আগে বহুবার লিখেছি।
আমার খুব ভালো লাগবে বুকুকে যদি আপনারা আপনাদের পরিবৃত্তে থাকা বাচ্চাদের কাছে পৌঁছে দেন। বুকু খুব মিশুকে, দেখবেন ওর সঙ্গে ওদের চট করে বন্ধুত্ব হয়ে যাবে।
সুমনকে আর আলাদা করে কি বলব। আজ আমার এক অত্যন্ত আনন্দের দিন। এই বিষম পরিস্থিতিতে যৎসামান্য হলেও বাচ্চাগুলোর জন্য কিছু তো করা গেল। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন এই প্রার্থনা। আর আমাদের সবার বাড়ির বাচ্চারা সুস্থভাবে বড় হোক। এ অন্ধকার থেকে ওদের হাত ধরে বের করে নিয়ে আসার মানুষগুলো যেন হারিয়ে না যায়। আমার সর্বস্ব দিয়ে এই প্রার্থনা।