বরং এ বছর পূজোগুলো বন্ধ থাক
   মাটিগুলো মাটি হয়েই থাক
       এক নারীমূর্তি বানিয়ে কি লাভ?
আরো যা যা লাগে, খড়, কাঠ, বিচুলি
   সে সবও না হয় যে যার জায়গায় থাক
বাঁশগুলো তুলে ফেলেছিলে?
     প্যান্ডেল হবে না এবার,
     নামিয়ে ফেলো,
তিরপলগুলোও গুদামঘরেই থাক
    যার যা নতুন কাপড় কেন হল
  সেগুলো না হয় আলমারীতেই থাক
              ন্যাপথলিনের গন্ধ দেওয়া
 আর যেগুলো কেনার ছিল কেনা হয়নি
            সেগুলো না কেনাই থাক
আর হ্যাঁ!, আকাশবাণীকে বোলো-
   ওই প্রভাতী নাটকটা যেন না চালায়
   দূরদর্শনেও ওদের আর রঙচঙ মেখে আসার দরকার নেই
একটা উৎসব। যার কেন্দ্রে একজন নারী। তাঁর দুইপাশে আরো দুজন নারী। ঢাক বাজবে, ঢোল বাজবে, মন্ত্র পড়া হবে। লক্ষ কোটি বঙ্গসন্তান সেজেগুজে মোচ্ছব করবে।
কেন করতে দেব? কেন হবে? কেন এই প্রহসনে গা ভাসাতেই হবে?
     আমার চলতে ফিরতে
    গায়ে, হাতে, পায়ে, পিঠে, চোখে, মুখে, নাকে ঠেকছে যে!
     তপসিয়ার জল থেকে তোলা নিথর একটা দেহ
     আমার পুজোর আগেই যে হল বিসর্জন!
তোরা কেউ তো নামলি না রাস্তায়!
     মা গো, কিসের পূজো? কিসের উৎসব?
পারিস যদি ফিরিয়ে এনে দে ওকে
     না হলে মা আসিস না
  কুমোরটুলিতেও শরীর বিকাবে মা
   নামিস না, নামিস না, নামিস না