Skip to main content

বনবিবি আর যীশু

বনবিবির মন্দিরের সামনে একটা বড় গুঁড়ি পড়ে। ঝড়ে গাছটা উল্টেছিল। সেই থেকে পড়ে। এখন ওর উপর বড়রা, ছোটোরা, মাঝে মাঝে বাড়ির মেয়েরা, বউরা এসে বসে।

শান্তি

মানুষের নিজেকে দুঃখ-শোক থেকে বাঁচানোর ক্ষমতা আছে। কিন্তু দুশ্চিন্তা থেকে বাঁচার ক্ষমতা নেই। দুশ্চিন্তার সাগরে উদ্বেগের ঢেউ। সে সামাল দিতে দিতে আত্মশক্তির অনর

Inside Job

বিখ্যাত স্টোয়িক দার্শনিক এপিকটেটাস একটা কথা বলতেন, কোনো সমস্যাকে এইভাবে দেখতে হবে যে, তার কোনটা আমার হাতে আছে, কোনটা নেই।

জানলার সিট

জানলার সিট চাইলেই বড়রা দেয় না। মায়ের কোলে বসে বসে জানলার দিকে তাকিয়ে আছে নীল। তার দাঁড়ানোর মত পা নেই। রাণাঘাট লোকালে একদম সিটের ধারে মা বসে আছে তাকে নিয়ে। প্

দ্বা সুপর্ণা

অন্য কেউ না
আমিই দেখে চলেছি আমাকে
গ্রীষ্ম বর্ষা
       শীত বসন্ত  
 কথার ভিড়। কথা শূন্যতা। 
   হিংসা। রাগ। অভিমান।
      ভালোবাসা। ভয়। মান। অপমান। 
 আমিই সাক্ষী আমার। একা। 
তবু একা হই। সঙ্গী খুঁজি। 
  যে সাক্ষী হবে আমার সঙ্গে আমার। 

যদি তুমি বলো

যদি তুমি ভাবো, নেই
তবে নেই
যদি তুমি ভাবো, আছে
তবে আছে
যদি তুমি ভাবো, আকার
তবে আকার
যদি তুমি ভাবো, নিরাকার 
তবে নিরাকার
যদি তুমি ভাবো, মিথ্যা 
তবে, মিথ্যা
    সে সত্যতেই না হোক সে সত্য 

গোড়ালি

রমা ঘুম থেকে উঠেই দেখল পায়ের গোড়ালিটা টনটন করছে। এখন মাটিতে পা রাখলেই মনে হবে যেন কাঁকড়া কামড়ে ধরল পায়ে।

চোখ ভরে

চোখ ভরে এলো জল। শুধুই কি হল ঝাপসা চারিধার, যা কিছু করছিল ঝলমল?

 

চাঁদ আর বাউলের গপ্পো

সেদিন ছিল পূর্ণিমা। চাঁদ উঠেছে এত্তবড়। এত্ত সুন্দর। তার ছায়া পড়েছে গোলাপ দীঘির জলে। গোলাপ দীঘির টলটলে স্বচ্ছ জল আর চারদিকে ফুটে গোলাপ। লাল, নীল কত রঙের গোল

হাঁফ

            ওই ইকোপার্কে নাকি শীতকালে হেব্বি ভিড় হয়…. কত টাকা ঢুকতে নেয়?

মন। শূন্য।

শীতকালে সবাইকে সুখী লাগে। এমনি এমনিই লাগে। এত মেলা, এত উৎসব, এত সাজ, এত গরিমা, এত আনন্দ। সবাই সুখী। অনায়াসে সুখী।

যে ঝিলের ধারে অনেক বক আসে সকালে

চায়ের দোকানে লুঙ্গিটা গুটিয়ে বসে আছে খাটুয়া। পায়ে বহুদিনের পরা ঢিলে আকাশী নীল মোজা। হাওয়াই চটির মধ্যে ভরা পা। গায়ে এক সময়ের ভালো স্বাস্থ্যের ঢোলা সোয়েটার। মা

দরজা। প্রদীপ। আর সে।

সন্ধ্যের অন্ধকারে টিমটিমে প্রদীপের আলোর সামনে এসে সে দাঁড়ালো। জোড়হাতে বলল, বাইরে ভীষণ বৃষ্টি, ঝড়, বিদ্যুৎ। আসব ভিতরে?

ভয়

বড় অন্ধ অভিভাবকত্ব চারদিকে

দিনদুনিয়ার মালিক আর জোনাকি

মাছ বিক্রি হয়ে গেলে গামলা-হাঁড়ি ধুতে বসল বগাই পুকুরের ধারে। লুঙ্গিটা হাঁটু অবধি তুলে, গায়ের ঘেমো জামাটা পাশে ঘাসের উপর মেলে ঘসঘস করে গামলা ঘষছে বগাই। পিছনে ভ

মিশিয়ে নিও

প্রতিযোগিতায় দৌড়াতেই হবে কেন? হেঁটে দেখলে কেমন হয়?

নোম চোমস্কি

মানুষকে নিয়ে দল পাকাতে গেলে ছোটোকথা লাগে। ভয় সেখানে একটা বড় অনুপান। যত ভালো করে মেশানো যায় তত ভালো কাজ করে। যে যুক্তি ভয় থেকে জন্মায়, আরেক ভয়ের কাছে মাথা নীচু করে,

আছেন

উনি সুখী ছিলেন না। উনি একা ছিলেন না।

অসংশয়

যে কথাগুলো স্বস্তি দেয় না আমায়

অত তো

তুমি সে মানুষ নও

কিসিংগার আর অবসরপ্রাপ্ত উনি

সাইকেলের চাকার রিং-এ বেলা সাড়ে দশটার রোদ এসে পড়েছে। দাঁড়িয়ে কথা বলছেন বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। মেয়ের ভবি