Skip to main content

আপনজন

কথাটা ঠিক মাছ ধরা না। কথাটা হল সময় কাটানো। নইলে এই পুকুরে কি এমন মাছ হয় যে সকাল আটটা থেকে বেলা দুটো অবধি বসে থাকা যায়

সূর্য ওঠে ভেসে

মৃত্যু নয়
মৃত্যুশোক বারবার ফিরে আসে 

যে নেই
সে যে আমারও খানিকটা নিয়ে নেই 
এ সত্যটা জলে ডোবা সিঁড়ির মত ভাসে

পুরোনো মুখের পাশে বসে নতুন মুখ
কুমোরপাড়ায় কি বিসর্জিত প্রতিমা ফিরে আসে?

সমে এসে মেলে

ফিরে আসার পর কি কি মনে থাকে?

মোড় আর গলি
গোছানো কিম্বা অগোছালো ঘর
সদ্য রান্না শেষ হওয়া রান্নাঘর 
বাজারদোকান, যানজট
কিছু হাসি, কিছু ছলছল চোখ
কিছু উদাসীন গাল, কিছু অত্যুৎসাহী ঠোঁট

পাহাড়, নদী, সমুদ্র?

নিঃসঙ্গ নয়

নিঃসঙ্গ নয়
একা করে গেলে

নীরবতা
সে তো
শব্দের অপারগতা

আমায় নিলে
আমাকে সরিয়ে ফেলে

 

[ছবিঃ অনিকেত ঘোষ]

নাকি ঘর হারালাম?

কথা বলতে বলতে মনে হল, 
যা বলছি, 
     সে আমার কথা নয়। 

থেমে গেলাম। 

তোমার চোখের উপর চোখ রাখলাম। যেন কান রাখলাম শাঁখের বুকে। সমুদ্রহীন সাগর গর্জন। 

বলতে গেলাম, 
    ছেড়ে যেও না। মরে যাব। 

তখন তুমি অনেক দূরে। 
কখন গেলে? 
    মিলিয়ে যাচ্ছ ধীরে ধীরে।

তপ্ত বালি, না পিচ্ছিল শ্যাওলা? 

সে জায়গাটায় নিজেকে আসতে দাও, যখন মনে হবে, নাহ্, এ মানুষটা আর যা হোক, আমায় ঠকাবে না। 

     মানুষের যতগুলো তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়, তার মধ্যে একটা অন্যতম তিক্ত অভিজ্ঞতা হল, যখন সে বুঝতে পারে সে ইউজড হয়েছে। এই ইউজড হওয়াটাকে অনেক ভাষায়, অনেক আঙ্গিকে বলা যেতে পারে। কিন্তু মোদ্দা কথাটা হল, ঠকে যাওয়া। ইউজড হওয়া। 

আশা

আমার ভালোবাসা, স্বপ্ন, আশা সব ব্যর্থ হয়েছে। তবু কেন নিজেকে সার্থক ভাবি জানো?

ফিরে তাকানো

ফিরে তাকানোর কারণ শুধু না
        ফিরে তাকানোর সুখও যখন 
                          তুমি

 

(pc: Aniket)

সুর

কৃষ্ণ ঠুমরি থেকে শুরু করে কত যে চটুল গানে আছেন, সে এক আশ্চয্যি ব্যাপার। কৃষ্ণকে বাদ দিলে ভারতীয় সঙ্গীতের এক বিরাট অংশের উপাদান হারিয়ে যাবে। কি নিয়ে গান বাঁধা হবে? প্রেমকে কোন আয়নায় দেখা হবে? সে তো দেখা হবে বৃন্দাবনে, যমুনায়, মায় নদীয়াতেও।

ভালোবাসাকে নাও

অভিমান মানে কি? নিজেকে বঞ্চিত ভাবার সুখ। সে ভালো নয়। যদি ভালোবাসো তবে সুখের কথা দূরে থাক। দুঃখকে এক একবার দেখে যেও বিছানায়, জামাকাপড়ে, পর্দায়, বাসনে, আসবাবে; সকালে, দুপুরে, সন্ধ্যায়, মধ্যরাতে।

এই যে কালো মাটির বাসা

মেঘ
=====


মেঘের মধ্যে পাহাড়, না পাহাড়ের মধ্যে মেঘ? থেকে থেকেই মুষলধারে নামছে বৃষ্টি, স্নান করে যাচ্ছে দার্জিলিং। 

     এই ভরা শ্রাবণে কেউ পাহাড়ে যায়? 

সে শুনতেই পেল না

সে সারাদিন ধরে রাতের প্রস্তুতি নিত। প্রদীপের সলতেগুলো পাকাতো বসে বসে। রোদ উঠলে গাছের তলায়, আর মেঘলা থাকলে উঠানে বসে। হারিকেনে তেল ভরত, কাঁচগুলো ঘষেমেজে রাখত ঝকঝকে। 

"ওরে মন সহজ হবি"

আফসোস মাঝে মধ্যে এটা সেটা নিয়ে হবে। এ স্বাভাবিক। কিন্তু আফসোস যখন স্বভাবে দাঁড়িয়ে যায় তখন সে এক বালাই। 

বাইশে শ্রাবণ

বাইশে শ্রাবণ মানে
নিভু নিভু মনুষ্যত্বের শিখাকে
আরেকবার দু'হাতে 
   আগলে রাখতে চেষ্টা করা
সব তাপ সহ্য করেও

যদি আর শেভ না করি?

একটু পর বৃষ্টি নামবে। মানে বোঝো? এই যে চারদিক অন্ধকার করে এসেছে, এর মানে বোঝো? 

আশ্রয় 

আশি ছুঁই ছুঁই মানুষকেও দেখেছি মাকে খুঁজতে। মায়ের অভাবকে অনুভব করতে। মামু ছোটোবেলায় একটা কার্টুন দেখত, ডোরেমন। মাঝে মাঝে আমিও দেখতাম। সেখানে একটা এপিসোডে দেখেছিলাম, ডোরেমন টাইম মেশিনে বা ওরকম কিছু একটা করে নোবিতার ঠাকুমাকে এনে দিয়েছে। নোবিতার বাবা অফিস থেকে ফিরে মাকে দেখতে পেয়ে কি ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে উঠল। অফিসের জামা পরেই মাকে জড়িয়ে ধরে নিজের কত সুখদুঃখের কথা বলতে শুরু