Skip to main content

কাছে দূরে

রোহিত মর্গ থেকে বেরিয়েই দেখল প্রচণ্ড রোদ বাইরে। হাসপাতালের এদিকটায় কেউ আসে না এই দুপুরের সময়টাতে। একটা বিশাল বটগাছের তলায় একটা বেঞ্চ পাতা। বেঞ্চটার অর্ধেকটা ভেঙে গেছে। কাঠের বেঞ্চ। কাঠের উপর দাগ দাগ খাঁজগুলোতে পুরু ময়লার স্তর। রোহিত একটা

একটা পুতুল যেন তোলা হল না

বাচ্চাগুলোর খেলা হয়ে গেলে, পুতুলগুলো আবার আগের জায়গায় তুলে রাখতে রাখতে মেয়েটার মনে হয়, একটা পুতুল যেন তোলা হল না।

বাকি সব বোগাস

হাওড়া স্টেশান ছেড়ে ট্রেনটা যখন বেরোয় রাত্তিরবেলা কি সন্ধ্যেবেলা, ওই হলুদ হলুদ, কমলা কমলা আলোগুলো দেখলে আমার ভীষণ মন খারাপ করত ছোটোবেলায়।

এখন করে না।

চেকমেট

চলাচলের রাস্তা 
পরিচিত তো দুই হাতের কড় পেরিয়েও অনেক
আহ্নিকগতি বার্ষিকগতিতে 
বাজেট-উৎসব-হাসপাতাল-প্রেম-ঈর্ষা
    সবই খাপেখাপে

দুরত্ব


==
তুমি বললে তাই অভ্যাস করলাম
তুমি বললে তাই অভ্যাস ছাড়লাম

আবার নতুন কিছু বলো
  অভ্যাস ধরা-ছাড়ার অভ্যাস হল যে!

গুরু - নেতা - শিক্ষক

সক্রেটিস নেতা ছিলেন, না গুরু ছিলেন, না শিক্ষক ছিলেন? সক্রেটিসের কোনো ধ্যানের মন্ত্র আছে? পূজাপদ্ধতি?

মিথ্যা ব্যাথা

ভালোবাসাটা সত্যি
    অধিকারটা রূপকথা

আমি জানি

উঠে আসছিলাম 
   সবার অলক্ষ্যেই

ভাবছিলাম খেয়াল করোনি হয়ত

দরজা অবধি এসে মনে হল 
   ডাকলে?

স্বামীজি

রবীন্দ্রনাথের উপর খাঁড়াটা নামছে। হয় ত এবার রদ হবে। সে হলেও, আমরা একটু নাড়া খেলাম। কিছুর যেন একটা ইঙ্গিত। 

অবস্থা বেসামাল!

কারা যেন কয়েছিল না এ বচ্ছর বৃষ্টিটা কম হবে! বলি কোন পঞ্জিকা দেখে কয়েছিলিস বাপ তোরা! হাঁটুজল ঠ্যাঙাতে ঠ্যাঙাতে, এর-ওর-তার খাদ্যের অপাচ্য বহিস্কৃত অংশ সামলাতে সামলাতে অবস্থা বেসামাল! আন তোদের যন্তুরপাতিগুলান এই জলে চুবাই!!! 

কিছু বুঝেছিলাম

কিছু বুঝেছিলাম
কিছু বুঝিনি

তবু যেন সবটাই বুঝেছিলাম

দাও আশ্রয়

বাইরে ঘিরছে মেঘের অন্ধকার। মনের আকাশে কাটছে মেঘ। গরম চায়ের কাপ জুড়িয়ে ঠাণ্ডা। বুকের তলা হল উষ্ণ ফিরতি পথে কয়েক মাইল হেঁটে। কবে ভাসানো কাগজের নৌকা ধাক্কা দিচ্ছে পাঁজরের তলায়। সময়ের হাতলে হাত রেখে এদিক ফিরেছে যারা, তাদের হাতে মিশে আমার আঙুলের ছাপ।

ভীতু কোথাকার

সবাইকে যথোচিত যথাযথ যা যা দেওয়ার দিয়ে দেওয়ার পর, নিজের জন্য থাক কিছু ভুল করার স্বাধীনতা। ভুল করাটা আত্মিক কর্তব্য। সেরকম কিছু আন্তরিক অবশ্যম্ভাবী ভুলই মোড় ঘোরায়। সমাজ চিরকালই ভীতু, ব্যক্তি নয়। সমাজ মানে অভ্যাস, ব্যক্তি মানে ইচ্ছা।&nb

ডাক


বৃষ্টি যখন লাগাতার তখন মন কিছুটা বেসামাল। একা মনে বৃষ্টি সংক্রমিত হয় তাড়াতাড়ি। ঘরবাড়ি-প্রতিবেশী-কাজ-দায়িত্ব সব অর্থহীন। অনেক দূরের।

বেঢপ সাইজ

মার্বেল বসানোর কাজ শেষ হল। ঝাঁ চকচকে বাড়ির অন্দরমহল। বাইরে কিছু মার্বেলের টুকরো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে। বললাম, ওগুলো ওরকম বাইরে ছড়ানো কেন?
"ওগুলো কোনো খাপে বসল না তাই। বেঢপ সাইজ।"

If You Trust

You can't feel Your sense within me ;
and space of words, I brought wisely.

I don't know how the count to be kept.
Just know, that pearl scorns Ocean's depth.

কে বলবে?

পর্দাটা উড়ছে
লোকটা পিছন ফিরে
তার বোধের অস্তিত্বের বাইরে উড়ছে

তাই বুঝছে না, 
 জানলাটা বাইরের আলোয় চোখ মেলেছে

ছেলেটা একটা নুড়ি ছুঁড়ল পুকুরে
টুপ্ করে ডুবে গেল জলকে চমকে

আমি

আমাকে এত স্থির, এত নির্দিষ্ট কিছু বোলো না
আমার ভয় করে
আমি নিজে তো কিছু স্থির নির্দিষ্ট নই
এক বিন্দু জলের মত 
মেঘ পিছলে আকাশ থেকে পড়ছি
   পড়ছি পড়ছি পড়ছি
আমার কোনো আকার নেই গন্তব্য নেই

আচার

১৮৯৫ সালে তারিখহীন একটি চিঠিতে বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণানন্দকে লিখছেন, "এক্ষণে দেখিতেছি যে, ওই ঘন্টাপত্র লইয়া রামকৃষ্ণ অবতারের দল বাঁধিবে এবং তাহার শিক্ষায় ধূলিনিক্ষেপ হইবে...

ছুঁতে চাই না

বৃষ্টি ভেজাচ্ছে না
বৃষ্টির শব্দতে ভিজছি

     ছুঁতে চাই না 
        তোমার আশ্বাসে বাঁচতে চাই

স্যাণ্ডো গেঞ্জি

লোকটা দরজা খুলে ঘরে ঢুকল। জানলাগুলো খুলল। রোদ এসে মেঝেতে শুলো শরীর এলিয়ে। লোকটা ঘরের একটা পাশে রাখা চৌকিতে বসল। তার মনে হচ্ছে ঘরে কে যেন একটা আছে। তার খুব পরিচিত, তার দিকে তাকিয়েই যেন বসে আছে কোথাও একটা। বসে আছে? না, হয়ত দাঁড়িয়ে।

চেয়েছিলাম

তোমাকে প্রতিধ্বনিতে চাইনি
       প্রতিধ্বনিত হতে চেয়েছিলাম

যদি বিশ্বাস করো

তুমি জানো না
আমাতে তোমার অনুভব, আর-
আমার বেছে আনা শব্দগুলোর মাঝে কতটা ব্যবধান

আমি পরিমাপ তো জানি না
শুধু জানি
ঝিনুকের বুকে বসা মুক্তো
   সমুদ্রের গভীরতা নিয়ে মাথা ঘামায় না

নৈতিকতার উৎস

নৈতিকতার উৎস সহানুভূতি আর সহমর্মিতা। যার থেকে বিচ্যুতির ভয় মনুষ্যত্ব হারানোর ভয়, অমৃতত্ব হারানোর নয়। 

মিল

কম্বল আর সম্প্রদায়ের মধ্যে একটা মিল আছে। প্রথমটা রাতে ভয় পেলে ভূত দেখার আতঙ্কের হাত থেকে বাঁচায় আর সম্প্রদায় জীবনের রূঢ় বাস্তবতাকে ভয় পেলে দল পাকিয়ে ঘেরাটোপ তৈরি করে বাঁচায়।

পুরুষের বহুগামিতা

আমি শ্রীযুক্ত অনুকূলচন্দ্রের কয়েকটা কবিতা পোস্ট করাতে, আমাকে একজন 'চলার সাথী' বইটা পড়ে দেখতে বলেন। সেটা পড়তে গিয়ে 'বহুগামিতা' তত্ত্বে ঠেক খাই। স্মরণীয় বর্তমান ভারতীয় সংবিধান ধারা 494 ও 495 অনুযায়ী হিন্দু বিবাহ আইনে বহু বিবাহ দণ্ডনীয় অপরাধ। অথচ এই বইটা সংস্করণের পর সংস্করণ কি ভাবে হচ্ছে আর প্রচারিতই বা কোন আইন অনুসারে হচ্ছে?
...

গুণমুগ্ধ

"ভীষণ সুন্দর গাইলেন, কি তান! কি মীড়ের মূর্ছনা!"

গায়ক প্রফুল্ল হলেন। গর্বিত দৃষ্টিতে চাইলেন প্রশংসকের দিকে।

বুঝুন

একটু দাঁড়ান। মিছিলটা পার হোক।
ওদের খিদের দাম আপনার সময়ের দামের থেকে বেশি

এয়ারটেলীয় বিজ্ঞাপন

একবার আমার এক পরিচিত মানুষের সাথে গল্প করছি, খুব অসুস্থ উনি তখন, দুটো কিডনীই খারাপ। উনি মজা করে বলছেন, “জানো তো সাউথে গিয়েছিলাম চোখের চিকিৎসা করাতে শঙ্কর নেত্রালয়ে। কিন্তু হোল বডি চেক আপ করাতে গিয়ে যখন জানলাম যে আমার কিডনী দুটোই খারাপ এবং তাড়াতাড়ি বদলাবার ব্যবস্থা না করলে

হ্যাঁ তো

চাঁদের দিকে তাকালাম

বিজ্ঞানী বললেন, ওটা আসলে সূর্যের আলো

বললাম, সত্যি বটে।

জ্যোৎস্নাস্নাত সামনের বাগানের দিকে তাকালাম

জ্ঞানী বললেন, সব মিথ্যা, মায়া, ক্ষণস্থায়ী

বললাম, তাই তো।

কিছু কবিতা

কিছু কবিতা পড়েছিলাম
      আজ সে সব গেছি ভুলে

কিছু কবিতা শুনিয়েছিল কেউ
     হয়ত খাপছাড়া আছে মনে

অপেক্ষারত আমি

যতটা আমি তোমার সাথে মিশল না
     ততটা আমি ব্যর্থ না
           অপেক্ষারত

বিশ্বাস ও তার manipulation

(এই লেখাটি পড়ার পর যারা আমায় আনফ্রেণ্ড করতে চান, সানন্দে করুন। প্লিজ বোকা বোকা তর্ক জুড়বেন না। আমার অভিজ্ঞতায় সত্য যে বেশে প্রতিভাত আমি তাতে দায়বদ্ধ। কাল যদি এর বিপরীতটা সত্যি বলে মনে হয়, তাও বলব, দ্বিধা করব না।)

পরিধি

কেন্দ্রে নয় তো
পার্থক্যটা হয় পরিধিতে
ক'টা বৃত্তের পরিধি ছুঁয়ে গেল?
ক'টা বৃত্তের পরিধি ছুঁয়ে এলে?
অবশেষে কেন্দ্রটা যায় মিলিয়ে
পরিধিটা যায় রেখে
যুগ-যুগান্ত ধরে সে পরিধি মিলিয়ে চলে

বুঝে নিতে হয়

পার্থক্যটা হল, লাইটস অন্, ক্যামেরা রোল বা মুভ কেউ বলে না। বুঝে নিতে হয়। 
নাইস শট্, কেউ বলবে না। ওটাও বুঝে নিতে হয়।

অভিসার

প্রেম সন্ধ্যাকাশে চিঠি পাঠিয়েছিল
                         নিঃশব্দে

মাগো আমার সকলি ভ্রান্তি

(আজ গুরুপূর্ণিমা। প্রজ্ঞা, জ্ঞান, বোধ, শুভবুদ্ধির দীপশিখা বহনকারী সেই পুরাকাল থেকে অধুনা সমস্ত আলোকিত আত্মার প্রতি আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম।)

হওয়া - রওয়া

লতানে গাছটা বটগাছটাকে জড়িয়ে উঠছিলো

  তা উঠছিলো তো উঠছিলো,
        ক্ষতি ছিল না তো কোনো!

হঠাৎ বেশ কিছুটা ওঠার পর
   লতানো গাছের সাধ হল

ভাঁড়

    ভাঙা ভাঁড়ের গল্প দুটো রেললাইনের মধ্যে
   এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে

উৎকণ্ঠা

মেঘলা আকাশ
   ছায়া ছায়া
      ভিজে ভিজে সবুজ এদিক ওদিক
বৃষ্টি বিরাম অবকাশে
   একবিন্দু বৃষ্টির জল 
  জানলার কার্ণিশে আটকে

শুভস্য শীঘ্রম

সরস্বতী পূজো-জন্মাষ্টমী-দোল-কালীপূজো ইত্যাদি স্কুল ছুটি; ঈদ মহরম স্কুল ছুটি; পঁচিশে ডিসেম্বর স্কুল ছুটি; বুদ্ধ পূর্ণিমা স্কুল ছুটি। 

শান্তি

রাত অনেক হল
ঘুম দরকার যে ভীষণ!

মানুষ ঘুমালে শুধুই মানুষ
ঘুমন্ত মানুষের ধর্ম থাকে না

ঘুম কে আনে?
আইন আনে না, পুলিশ আনে না

চিড়

বৈশাখীর সব পাল্টে গেল জামাটা দেখার পর। সকাল থেকে বেশ ব্যস্ত ছিল। ছেলেকে স্কুলে পাঠানো, কাজের লোক, রান্নার লোকের পিছনে দৌড়াদৌড়ি করতে করতে...

সে কি এই ভারতবর্ষ?

ওই যে মেয়েটা অভিসারে গেল
    ওর যেতেই হয়,
  মাথার উপর আকাশ ভাঙা মেঘ
      বাইরে ঝোড়ো হাওয়ার সাথে সন্দিহান কুতকুতে চোখ চারদিকে ঝোপেঝাড়ে

প্রাচীন বর্ষা

রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়েছিল। বৃষ্টি পড়ছে সকাল থেকে। একটা ময়লা চাদর জড়িয়ে লোকটা সামনের বাসস্ট্যাণ্ডের দিকে তাকিয়ে। হাতে চায়ের ভাঁড়। তার খেয়াল নেই জল জমতে শুরু করেছে। পায়ের পাতা ডুবে গেছে ইতিমধ্যে। একটা ফাঁকা সিগারেটের প্যাকেট জলে ভাসতে ভা

সব অধ্যায় তো আর উপসংহার নয়!

সময়, সময় সময় বেকুব বানিয়েছে। ভাগ্যও সময় সুযোগ বুঝে প্যাঁচ কষেছে আচ্ছা করে। নিজের হাতে লালিত-পালিত বিশ্বাসের মৃতদেহ সাদা চাদরে ঢেকে সৎকার করেছি, সেই লালন-পালন করা হাতেই। যে গাছের বীজ জেনে পুঁতেছি, জল দিয়েছি, সার দিয়েছি - অন্য গাছ হয়েছে, কখনও এমন বিষাক্ত...