ডুব
ট্রেনের মাথাটা দেখা যাচ্ছে। সিগন্যাল লাল। স্টেশানে লোক নেই। দাঁড়াবার কথা নয় ট্রেনটার। পূর্ণিমার চাঁদ। রেললাইনের উপর আমগাছের ছায়া। বোলের গন্ধ নেশার মত।
অন্তরে আর বাহিরে তাই..
রাধাকান্তবাবুর বহুদিনের অভ্যাস, ঘুম থেকে উঠে কখনও হাতে তালি দিয়ে, কখনও খোল বাজিয়ে, খঞ্জনি বাজিয়ে রামনাম করেন। কখনও "প্রেম মুদিত মন সে কহো রাম রাম রাম, শ্রীরাম রাম রাম"....কখনও "শ্রীরামচন্দ্র কৃপালু ভজ মন".. এইসব ভজন গান। বাড়ির লোক, পাড়াপ্রতিবেশী সকলে তার সরল প্রাণের ভক্তিতে আবিষ্ট হয়ে, সাধু সাধু বলেন।
অনবগুন্ঠিতা
কামড়
রাস্তায় জল জমেছে। এতটা জল যে সাইকেলের অর্ধেক টায়ার জলের নীচে চলে যাচ্ছে।
অনুপের নতুন সাইকেল। চেনটা শক্ত। টান লাগছে। কিন্তু ভালো লাগছে। সব মিলিয়ে ভালো লাগাটাকে ভয়ও লাগছে। একটু পরেই সন্ধ্যে। বিদিশা কই তখন?
মাটির গুলি
রোগা ছিপছিপে শরীর। প্যান্ট আর জামা অতিব্যবহারের সীমারেখা পেরিয়ে গেছে। বয়েস দেখে মনে হবে সদ্য হয় তো পঞ্চাশ পেরিয়েছে। মুখে শুনলাম, বয়েস তেষট্টি। "আমি এই তেষট্টি বছর এই মাঠে আসছি... এমন সাপ দেখিনি আগে।"
বুবুন আর খোলা ফ্রিজ
বুবুন ওই জন্যেই তো রাত্রে ফ্রিজ খোলে না। কতবার বাবাকে, মাকে, রান্নার পিসিকে, বন্ধুদের বলতে চেয়েছে, কেউ বিশ্বাস করেনি। ভাবে ফোরে পড়ে, তাই বানিয়ে বানিয়ে মিছিমিছি বলে।
সেই চোখ দেখব বলে
সন্ধ্যাবেলায় একটা নৈর্ব্যক্তিক শুষ্কতা ঘিরে থাকে। হাস্পাতালের বাইরে পুকুরটার দিকে তাকিয়ে আমার সারাদিনের হিসাব। পুকুরের জলের রঙ এত বদলে বদলে যায় আগে জানতাম কই?
কানাভাঙা বেঞ্চ
পকাদা একজন সমাজ সচেতন নাগরিক। সমাজ নিয়ে প্রচুর ভাবনা। মাঝে মাঝে পকাদা বলে, "আমি যা যা ভেবেছি বিশু, লিখলে রবীন্দ্রনাথকেও হার মানাত।"
আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তা লিখলে না কেন গো?
টিনের কৌটো
পাখিটা উড়ে গিয়ে পুকুরপাড়ের গাছটায় বসল। সন্ধ্যে হব হব। বকের সারি ধানক্ষেতের উপর দিয়ে উড়ে গেল। একটু একটু শীত শীত করছে। এদিকটা এত ফাঁকা ফাঁকা। শেয়াল ডাকতে শুরু করল। এ সব শুনব বলেই তো গ্রামে আসা। তবে এবারের অ্যাডভেঞ্চারটা অন্য। আমার পিসেমশায়ের বন্ধুর ছেলে তারকদার সঙ্গে এসেছি। তারকদা কলেজ অবধি পড়েছে। অ্যাকাউন্টেন্সি অনার্স ছিল। খুব মিশুকে। আহেরিটোলায় আমাদের বাড়িও গিয়ে থেকে
একগ্লাস জল
- আজ বহুদিন পর একগ্লাস জল খেলাম
- পুরো গ্লাস?!!