Skip to main content
gandhi

"আচরণের স্বর্ণময় নিয়ম - পারস্পরিক সহিষ্ণুতা, কারণ আমাদের সবার বিচারধারা কখনও একই রকমের হবে না, আর সত্যকে আমরা সব সময়ই খণ্ডিত আর আলাদা আলাদা দৃষ্টিকোণেই দেখব। সবার বিবেক তো একই রকমের হয় না। যদিও বিবেক মানুষের ব্যবহারের উত্তম পথপ্রদর্শক, কিন্তু তাও নিজের উত্তম বিচার অন্যের উপর আরোপ করলে সেই ব্যক্তির নিজের বিবেকের স্বাতন্ত্র্যবোধের উপর গভীর কুঠারাঘাত হয়। অত্যন্ত বিবেকবান মানুষদের মধ্যেও, স্পষ্ট মতান্তরের সম্ভাবনা থেকেই যায়।

অতএব, প্রত্যেক সভ্য সমাজে, পারস্পরিক সহিষ্ণুতাই আচরণের একমাত্র সম্ভাব্য নিয়ম।

ক্ষমা আত্মার গুণ, তাই এটি একটি সদর্থক গুণ। এটা নঞর্থক গুণ না। ভগবান বুদ্ধ বলছেন, "ক্রোধকে অক্রোধের দ্বারা জয় করবে", কি এই অক্রোধ? এটি হল একটি সদর্থক গুণ, আর এর অর্থ হল উদারতা অথবা প্রেমের সর্বোচ্চ গুণময়তা। তোমার নিজের মধ্যে এই সদগুণের বিকাশ ঘটানো উচিৎ, যাতে তুমি একজন ক্রোধী ব্যক্তির কাছে যেতে পারো, এবং তাকে তার ক্রোধের কারণ জিজ্ঞাসা করতে পারো, আর যদি দেখো তুমি কোনোভাবে তাকে আঘাত করেছ, তবে নিজেকে শুধরে নিতে পারো, অথবা তাকে তার ভুলটা জানাতে পারো আর বোঝাতে পারো যে এইভাবে রেগে থাকা তার উচিৎ হচ্ছে না। আত্মার গুণের এই বোধ এবং তার সবিবেক প্রয়োগ শুধু মানুষকে না, তার চারপাশের পরিবেশকেও উন্নত করে তুলবে। এটা অবশ্যই সত্য যে, একে বাস্তবে প্রয়োগ সে-ই করতে পারবে যে তার অন্তরে ভালোবাসাকে বিকশিত করতে পেরেছে। এবং এতেও কোনো সন্দেহ নেই যে নিরন্তর অভ্যাসে এই গুণের বিকাশ অবশ্যই সম্ভব।

যে কথা একজন ব্যক্তির জন্যে সত্য, তা রাষ্ট্রের জন্যেও সত্য। যে দুর্বল সে কোনোদিন ক্ষমা করতে পারে না, ক্ষমা সামর্থবানের গুণ।"

 

~ মহাত্মা গান্ধী