এই উৎকণ্ঠাটা চেনা। বি আর চোপড়ার মহাভারত হত রবিবার করে। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। কি অসহ্য লাগছে। কেউ উঠছে না সিংহাসন ছেড়ে। কেউ গিয়ে দুঃশাসনের হাতটা চেপে ধরছে না। সবাই চুপ। টিভির স্ক্রিন জুড়ে শুধু কান্না আর চীৎকার, আর্তনাদ। আর কাদের কাদের অট্টহাসি।
আজ খবরের কাগজ, সোশ্যাল মিডিয়া, টিভি চালালেই সেই এক উৎকণ্ঠা। সঙ্গে লজ্জা। ভীষণ লজ্জা।
সভ্যতার সংকট নতুন করে কিছু ঘটার নেই। মহামানব আসেনি কেউ। আসবেও না। সেদিনও নৈতিক সাহস পঙ্গু হয়ে, নানা কূটনৈতিক জালে আটকে ছিল ধৃতরাষ্ট্রের সভায়। আজও তাই। শুধু রক্তপাত, ধ্বংস আর মৃত্যুই বুক বাজিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে শহর জুড়ে। উল্লাস আর আতঙ্ক এদিক ওদিক। কি ভয়ংকর। সেদিনেরই মত। পার্থক্য, সেদিন কবির কল্পনায় অর্জুনের রথ এসেছিল। তবেই পার্থসারথিও এসেছিলেন। আজ শকুনিরা সারথি। ভয় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পারমাণবিক বোমা। ভীষণ দুঃসময়। দুঃস্বপ্নের চাইতেও। এ ঘটছে। এ অস্বীকার করার সময়ে নেই আর।