লুঙ্গিটা পরা, তবে গিঁট দেওয়া নেই
বেড় দেওয়া কোমরের কাছে
একহাতে ধরা,
মনে হয় এক্ষুণি বেসামাল হবে
হয় না। ধরাই থাকে
একটা হাত ধরে থাকতে থাকতে বেঁকে গেছে ধনুকের মত
আরেক হাতে ভিক্ষা নেয়
ঠিক ভিক্ষা না, ও ভিক্ষা মানে বোঝে কি?
সারা মুখ দাড়ি,
রোগা মুখে, পরিত্যক্ত পাখির বাসার মত কোটোরে জ্বলন্ত দুটো চোখ
কি লাবণ্য তার মুখে!
পাগলের মুখে লাবণ্য?
শুধু মুখে?
ওর হাঁটায় দাঁড়ানোয় একটা প্রচ্ছন্ন নারীত্বের আভাস!
তবে কি সাধক? গুপ্ত সাধক? নিজেকে নারী ভেবে পুরুষ করেছে পরমাত্মাকে?
উত্তর নেই
মনের তীরে ভাঁজের উপর ভাঁজ
ভাঁজের পাটি উল্টে গেলেই পাগল
হাঁটুজলেই চোরাস্রোত
মনের তটে সময়ের ঢেউ
আছড়ে পড়ছে। ও নির্বিকার। ও ঝিনুক কুড়িয়ে মুক্তো খোঁজে না,
ওর বুকের মধ্যে তৃষ্ণা আগুন কে নেভালো?
এক হাতে চা নিয়ে সলজ্জ হাসল
বিস্কুটটা নিতে গিয়ে চায়ের কাপটা রাখল পাশের বেঞ্চে
পরিপাটি করে রাখা, চা ছলকালো না এক বিন্দুও
প্রসন্ন হাসল। যে হাসি শরৎকালে শিশির ভেজা ঘাসের আগায় দেখেছি।
কিছু বললাম না। ও শোনে না, আর শুনলেও বোঝার দায় রাখে না।
ও দেখে
কেবল দেখে। আমাদের সবাইকে সকাল থেকে বিকাল
শীত গ্রীষ্ম বর্ষা শুধু দেখে। বিচার করে না, মতামত জানায় না।
ক্ষুব্ধ হয় না, চঞ্চল হয় না। শুধু তাকিয়ে থাকে।
কখনও আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের মনে কি বলে
আঙ্গুল নেড়ে হিসাব করে? নাকি ইশারা?
উত্তর নেই, শুধু ওর অস্তিত্বজুড়ে পশুর মত পবিত্রতা
জানব যে, ওর ভাষায় কথা বলার শব্দ কই?