বাড়ির পাশেই একটা পুকুর থাক
মিছিমিছিই না হয় হল
তেতেপুড়ে যখন তখন নামা যায়
এমন দূরত্বেই থাক
তার জল সবুজ। ঘন সবুজ।
পুকুরটার ওপারে থাকুক ঘন সুপুরি, নারকেল গাছের সারি
আমি কখনও চিৎ সাঁতার, কখনও ডুব সাঁতার দিই
দিতে দিতে দূরের থেকে সংসারকে দিই উড়িয়ে
সদ্য দেওয়া বড়িতে বসা কাকের মত - হুস্!
তারপর আবার দিই ডুব
জলের নীচে মাটি ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে থাকি খানিক
দম আটকাবে? মোটেও না
দমবন্ধ করে কাটিয়ে এসেছি গোটা রাতদিন, মাসের পর মাস
আজ এটুকুতেই দম আটকাবে?
হাসিও না!
চিৎ সাঁতার দিতে দিতে আকাশে ভাসা বক, মেঘ দেখব
আর দেখব আমার গেলবারের শাড়ির পাড়ের মত নীলাকাশ, আমার সতীন!
ওকে বলব, তুই সব নে, সব সব সব
শুধু আমায় এ পুকুরটা ছেড়ে দে ভাই
আমি ডুবি, নিরুদ্দেশ হই
ইলেক্ট্রিক চুল্লীর ধোঁয়ার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে
এই কথাগুলোই মনে হচ্ছিল
মানুষটা মিছিমিছি পুকুরই তো চেয়েছিল একটা,
নিজেকে নিয়ে ডোবার মত সংসারে জায়গা ছিল কই?
বড্ড ঘিঞ্জি তো, বড্ড বেশি ঘেঁষাঘেঁষি
সব বদ্ধ ইচ্ছাগুলো মিশছে ওর সতীনের বুকে
নামবে কখনও বৃষ্টি হয়ে
কোনো নামগোত্রহীন পুকুরের জলে
নির্জন দুপুরে,
কচুপাতা ছুঁয়ে পুকুরকে ছোঁবে - টুপ!