Skip to main content

তোতলা ছিল। তাই কথা কম বলত। ভাবত। দেখত। হাসত। কাঁদত।

বোবা না, তোতলা ছিল।

একদিন ভীষণ ঝড় উঠেছে। পাশের বাড়ির ছাদের কাপড়টা উড়ে যাচ্ছে, সে চীৎকার করে বলতে গেল, পারল না। সব শব্দ জড়িয়ে গেল। কাপড়টা উড়ে গিয়ে শিউলিগাছটার গায়ে পড়ল। হাওয়ায় এমন জড়িয়ে গেল, যেন শাড়ি পড়ে দাঁড়িয়ে আছে এক মেয়ে।

একদিন ভাত খেতে খেতে একটা কাঁচালঙ্কা বরবটি ভেবে কামড়িয়ে ফেলল। ঝালে জ্বলে যাচ্ছে জিভ, গাল। জল চাইবে, তাড়াহুড়োয় বলতে তো পারলই না, হেঁচকি ওঠা শুরু হল। দেখল ধীরে ধীরে ঝাল লাগাটা কমে এলো আপনিই। মুখের মধ্যে যেন যুদ্ধ জয়ের আতঙ্ক।

এখন টিভি খুলে রোজ বসে। যুদ্ধের খবর দেখে। উত্তেজিত হয়। যন্ত্রণা পায়। জিভকে ব্যস্ত করে না। কাউকে কিছু বলে না। একা একা ছাদে এসে দাঁড়ায়। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে। যে ঈশ্বর বহুযুগ হল কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে মাটির সঙ্গে, তারই মত। ঈশ্বরের ভাষা অনুবাদ করতে পারে না আর তোতলা বিবেক যেদিন থেকে।