চারিদিকে খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে
যান্ত্রিক আওয়াজে অভ্যস্ত গাছেরাও এখন
ভিত খোঁড়ার কাজ চলছে সবদিকে
মুখ ব্যাদান করা মাটি নিষ্প্রাণ তাকিয়ে শুয়ে আকাশের দিকে
বুকের ভিতর থেকে হৃৎপিণ্ড খুলে নিয়ে গেছে ওরা
গাছের বীজ গাছের আঙুলে ধরা, অঙ্কুরণহীন প্রাণ
যত গভীর ভিত, ইমারত উঠবে তত উঁচুতে
চিলের ডানাও ধাক্কা খাবে ছাদের কার্নিশে
স্বার্থ বুঝে নিচ্ছে সবাই। ভিত খুঁড়ছে ভিতেরাও।
যত নীচে নামছে তত উঁচুতে উঠছে হাত
কেড়ে আনতে চাইছে অমরাবতীর অমৃত
ভয় হচ্ছে, খুঁড়তে খুঁড়তে পৃথিবীর কেন্দ্রের লাভায় দিয়ে ফেলবে হাত,
সারা শরীর পুড়ে ছাই হবে নিমেষে
ছাই হওয়ার আগে সে ভাববে হয় তো-
এতটা খোঁড়ার দরকার ছিল কি!
মানুষকে থামতে বলবে কে? বারণ করবে কে?
মানুষ যদি গাছের কথা না শোনে, শিকড়ের ভাষা না বোঝে, বীজের ইঙ্গিতে থাকে বোবা হয়ে?
তবে উত্তপ্ত লাভাই শেষ কথা বলে -
এবার থামো!!!
কে গাইছে? ও কি অন্ধ বাউল? ওই শোনো কি গাইছে ও..
"লক্ষ্মী যখন আসবে তখন কোথায় তারে দিবিরে ঠাঁই.. দেখ রে চেয়ে আপন পানে - পদ্মটি নাই..পদ্মটি নাই......."