Skip to main content
এখানে চাঁদ দেখতে ন’তলা সিঁড়ি ভাঙ্গতে হয়,
অলকা পারে না।
এখানে মনের কথা বুদ্ধি দিয়ে বলতে হয়,
অলকা বোঝে না।
এখানে ঘরের মধ্যে হাটতে গেলে মানুষে জিনিসে ঠোকাঠুকি
অলকা হাটে না।
বর ছেলে বৌমা বুঝলো – ডিপ্রেশান।
অলকা প্রতিবাদ করল না।
এখানে মনের থেকে শরীরের দাম বেশী।
ঢুকলো মনোবিদের চেম্বারে।
প্রশ্নের পর প্রশ্ন,
অলকা শুনতে পায় না।
তার চোখ
মনোবিদের ডাই করা কালো চুলের ফাঁকে
সাদা চুলে আটকে।
ফেরার সময় জ্যামে গাড়ী আটকে।
অলকা দেখলো
তার পাশেই কাঁচে ঢাকা গাড়ীতে
 
এক শবদেহ।
অলকা অনেকক্ষণ দেখলো।
তারপর গাড়ীর সীটে মাথা এলিয়ে
 
চোখ বন্ধ করে দিল।
গ্রীষ্মের চড়া রোদ
এসি গাড়ীর কাঁচ ভেদ করে
 
অলকার শান্ত মুখের ওপর পড়ল।
ছেলে বর বৌমা খুশি হল।
ডাক্তারটা ভাল।

Category