sumanasya
3 May 2024
চায়ের দোকানে আজ বাবা বসেনি। মেয়েটা বসেছে। বাবা অসুস্থ। গরমে। মেয়েটা স্কুলে পড়ে। ইলেভেনে। দোকানে আগেও এসেছে। বাবার সঙ্গে। আজ একা। তাই কি সব অন্যরকম?
মেয়েটা সারারাত ভাবল। কী অন্যরকম? যেটা অন্যরকম, সেটা ভালো লাগছে, না খারাপ লাগছে? উত্তরটা স্পষ্ট নয়। কিন্তু অস্বস্তি হচ্ছে। বারবার পাশ ফিরছে। টয়লেটে যাচ্ছে। আশ্চর্য, টয়লেট থেকে যেতে আসতে যে আয়নাটা পড়ে, যে আয়নাটার সামনে যেতে আসতে তাকায়, আজ দাঁড়াচ্ছে না। বরং পালাচ্ছে। কেন?
পরেরদিন সারাটা সকাল অস্বস্তিতে কাটল। বিকেলে দোকান খুলতে হবে। বাবা বলেছে একবেলা খুললেই হবে। ডাক্তার বলেছে বাবাকে আরো তিনটে দিন রেস্ট নিতে। মা, বলেছে, পারবি না? আমি পড়াশোনা জানি না। অত হিসাব রাখতে পারি না। নইলে….
তিনদিন পর বাবা সুস্থ হল। দুবেলা দোকান খুলল আবার। সব আবার আগের মত হল। মেয়েটা ছাড়া। তার যেন কী হারিয়ে গেছে।