(আজ ১২ই জানুয়ারি। স্বামীজীর জন্মদিন। তিনি এককালে স্বদেশমন্ত্র লিখেছিলেন। আজ যদি লিখতেন, তবে কি লিখতেন?)
হে ভারত, এই মাস্কহীনতা, এই যত্রতত্র জমায়েত, এই নির্বিচার ভ্রমণপ্রিয়তা, এই অবার্চীন বাজারপ্রিয়তা - এইমাত্র সম্বলে তুমি এই প্যাণ্ডেমিক অতিক্রম করিবে? এই লজ্জাকর বিবেচনাহীনতা লইয়া তুমি সুস্থ জীবনে ফিরিয়া যাইবে? হে ভারত, ভুলিও না, তুমি প্যাণ্ডেমিকে আক্রান্ত; ভুলিও না গতবৎসর কি মহামৃত্যুমিছিল দেখিয়াছিলে; ভুলিও না, তুমি এই প্যাণ্ডেমিকের জন্য বলিপ্রদত্ত নও; ভুলিও না, হাস্পাতালে এত এত শয্যা, অক্সিজেনের সরবরাহ করিবার ক্ষমতা আমাদের নাই; ভুলিও না খবরের কাগজে আক্রান্তের যে সংখ্যা দেখা যাইতেছে তাহা আসল সংখ্যার ছায়ামাত্র; ভুলিও না - শত শত চিকিৎসক, পুলিশ, ব্যাঙ্ককর্মী, তথা প্রথমসারির সেবকেরা তোমার রক্ত, তোমার ভাই! হে বীর, বুদ্ধি অবলম্বন কর; সজোরে ডাকিয়া বলো, হে গঙ্গাসাগরগামী ভারতবাসী, হে মাস্কহীন ভ্রমণকারী ভারতবাসী, হে ভোটের লাগিয়া ভিড় জমানো ভারতবাসী, হে বাজারে ঘোরা ভারতবাসী তোমরা সকলে আমার ভাই; তুমিও মুখমণ্ডল মাস্কপরিবৃত করিয়া, হাত স্যানিটাইজ করিয়া, দূর হইতে ডাকিয়া বলো, তোমরা মাস্ক পরিধান করো, হাত স্যানিটাইজ করো, ভিড় করিও না, ভিড়ে যাইও না। ভারতের হাস্পাতাল, ভারতের নার্সিংহোম, ভারতের সেফহোম আমাদের এই সময়ের একান্ত আস্থা, আশ্বাস, ভরসা, তাহাদের উপর চাপ কমাইতে থাকো। ভারতের মৃত্তিকা অক্সিজেনে, সুস্বাস্থ্যে, কোভিড নিয়মাবলীতে স্বর্গে যাইবার পথ রোধক হইয়া উঠুক। ভারতের সুপারস্প্রেডার আটকাইলে আমাদের কল্যাণ। নতুবা নয়। বলো ভাই - "হে গৌরীনাথ, হে জগদম্বে, আমায় মনুষ্যত্ব দাও; মা, আমার দুর্বলতা কাপুরুষতা দূর করো, আমায় মানুষ করো"। আমায় কোভিডিডিয়ট হইতে রক্ষা করো।