Skip to main content
স্বামীজি
রবীন্দ্রনাথের উপর খাঁড়াটা নামছে। হয় ত এবার রদ হবে। সে হলেও, আমরা একটু নাড়া খেলাম। কিছুর যেন একটা ইঙ্গিত। 
        আগাম পথের একজন বড় অ্যাম্বাসাডার বা স্কেপগোট যাই বলুন, হতে চলেছেন বা হয়েছেন স্বামীজি। তাঁর জীবনের শেষের দিকে দুটো সিদ্ধান্তর স্ক্রিনশট দিলাম। কথাটা আপনি আমি উড়িয়ে দিতেই পারি। যেমন বহু বছর আগে যখন প্রথম পড়েছিলাম তখন দিয়েছিলাম। এখন কিন্তু পারছি না। যিনি দেশের যুবনায়ক তাঁর এই শিক্ষা যদি পাঠ্যক্রমে ঢোকে, তখন 'জীবে প্রেম করে যেই জন' আর থাকবে কি? ওসব কাব্য, অচল বলা হতে পারে। তখন এগুলোকেই নিয়ামক দাঁড় করিয়ে ভারতকে পুনরায় আর্যপথে আনার প্রচেষ্টা শুরু হতে কতক্ষণ? আর তাই যদি হয়, তবে অনুকূলচন্দ্রের এত নিন্দাই বা করা কেন? তার অজস্র কথোপকথনে তিনি তো স্বামীজির এই কথাটারই অনুসরণ করেছেন। ভুলটা কোথায় তবে? সীতারাম দাস প্রমুখ বর্তমান ভারতীয় গুরুদের বর্ণাশ্রমের প্রতি অত্যন্ত নিষ্ঠাই বা সংকীর্ণতা বলি কেন? আপনি বলবেন স্বামীজি এর সাথে অনেক ভালো কাজ কথা বলেছেন। জানি। মানিও। কিন্তু মনে রাখবেন এটা ওনার অন্তিম সিদ্ধান্ত। 
        খানিক আগে বেলুড় মঠের এক বিখ্যাত পণ্ডিত সন্ন্যাসীকে জিজ্ঞাসা করলুম, তবে কি আপনাদেরও তাই মত? ওনারা বললেন, হ্যাঁ। সাথে এও বললেন, স্বামীজি আরো কয়েকদিন বাঁচলে উনি নিজেই স্মৃতিগ্রন্থ লিখে ফেলতেন। বললাম, তবে তো অনুকূলচন্দ্র তাই করেছেন সারাটা জীবন। তিনি বললেন, কিন্তু ওদের দীক্ষা দেয় ঋত্বিকেরা। কারা ঋত্বিক? কিছুটা তাচ্ছিল্যের সুরেই বললেন, যারা লাঙল চালায়, কারাখানায় কাজ করে, ব্যবসা করে তারা। তাদের আবার আধ্যাত্মিক ক্ষমতা কোথায়? সে তো সাধুদের অধিকার!!
        অতএব সাবধান। অলক্ষ্যে জল গভীরে গোপনে অনেক দূর গড়িয়েছে। যেদিন আরো ছড়িয়ে লক্ষণগুলো বাইরে এসে দাঁড়াবে সেদিন দুর্গতির সীমাপরিসীমা থাকবে না। রবি ঠাকুরের উপমায়, সময়ে কূপ না খুঁড়ে যখন আগুন লাগল তখন ঘটি মাটিতে ঠুকলাম। জল উঠিল না, "কেবল ধূলাই উড়িল"...সে ঘটি সহস্রবার কপালে ঠুকতে হবে।