Skip to main content

যখন কাউকে হিংসা করছি, ঈর্ষা করছি, একদম দস্তুর মত নিষ্ঠা নিয়ে নিত্য নিত্য, লহমায় লহমায় তা করে যাচ্ছি, তখন মন তার বাকি সব দায়িত্ব, কর্তব্য, অসম্পূর্ণ কাজ এড়িয়ে, ফাঁকি দিয়ে কি আনন্দের সঙ্গে বলে তাই তো… একদম ঠিক কাজ করছ। বাকি সব তুচ্ছ তো!

কিন্তু কি করছি আসলে?

নিজের যাবতীয় হীনমন্যতা, হেরে যাওয়াকে স্টাফিং করে, ঈর্ষা করছি যে মানুষটাকে, তাকে বানিয়েছি। যেমন আমার হয় তো খুব ভালো খেলোয়াড় হওয়ার ইচ্ছা ছিল। হতে পারিনি। একজন খেলোয়াড়কে ঈর্ষা করে, হিংসা করে রাতদিন জ্বলে মরছি। আসলে সে খেলোয়াড় শুধু বাইরের খোলেই সে, তাকে স্টাফিং করেছি আমার যাবতীয় নেগেটিভ ইমোশানগুলো দিয়ে। দিয়ে আমিই জ্বলে মরছি।

এর উল্টোটাও আছে। যখন আমি নিজেকে ভীষণ সফল ভাবছি, কি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ভাবছি, তখন অন্য মানুষদের ভাবছি নীচু জায়গায়, আমার মুখাপেক্ষী ইত্যাদি। আসলে সেই অন্য মানুষদের, মানে আমার মুখাপেক্ষী হয়ে আছে এমন মানুষদের স্টাফিংও আমিই করছি, আমার অসঙ্গত শ্লাঘা দিয়ে। বাস্তবে তারাও কেউ নেই। কিন্তু অন্যকে নিজের মুখাপেক্ষী ভাবার মধ্যে এক ঘোর আছে, অবসেসান আছে। ডুবিয়ে রাখে।

এই দুই স্টাফিং তত্ত্বটা বুঝে গেলে নিজের হাত থেকে নিজের রেহাই মেলে। সংসারে আমার 'উল্টো বুঝলি মন' এর চাইতে বালাই আর কি আছে? নিজের লিমিটেশন, নিজের হাজার একটা অপারগতাকে স্বীকার করে না নিলে এই স্টাফিং প্রক্রিয়া চলতেই থাকে। ঘোর ভাঙে যদি আশীর্বাদ। যদি না ভাঙে? স্টাফিং এর চাপে একদিন আমিই রসাতলে।