আমার বন্ধু দুপুরে ফোন করল অফিস থেকে, বলল, ব্যস্ত?
আমি বললাম, না। একদমই না। (বন্ধুদের কাছে আবার কে ব্যস্ত থাকে!)
“আমার জিভ পুড়েছিল কফি খেতে মনে আছে?”
হ্যাঁ মনে আছে। যা খাচ্ছিলি জ্বালা করছিল বলছিলি। তাই হয় তো। আমারও হয়েছিল।
“হ্যাঁ হ্যাঁ। বাকিটা শোন। তো আমি মাকে বলেছিলাম তুমি রুটি আর সাদা সাদা আলুর তরকারি দেবে, যাতে ঝাল না লাগে। মানে যেমন আলুর তরকারি অনেকে লুচি দিয়ে খায়।”
আমার শুনেই খিদে পেল। যা হোক সে সম্বরণ করে বললাম, হ্যাঁ, তারপর?
“মা তেমনই দিচ্ছিলেন। মানে রান্নার দিদিকে তেমনই ইন্সট্রাকশন দিয়ে বানিয়ে টিফিন দিচ্ছিলেন। কিন্তু মুশকিল হল, আমার সন্ধ্যেবেলা হলেই এই অফিসের মধ্যেই পায়খানা পেতে শুরু করল। যা কখনও-ই হয় না।”
আমার মধ্যে একটা সুপ্ত বিধান রায়ের চাইনিজ ভারসান আছে। আমি ভাবতে শুরু করলাম কী কী কারণ থাকতে পারে? তবে কী ওর গ্লুটেন অ্যালার্জি আছে? নাকি আলু সহ্য হচ্ছে না?
“তো আমি মাকে বললাম, এরকম কেন হচ্ছে বলো তো…. তুমি যে জিরের গুঁড়োটা দাও আলুর উপর ছড়িয়ে ওটা বরং দিও না… ওর জন্যে হচ্ছে কি?
কিন্তু জিরের গুঁড়োতে হওয়ার নয়…. তবে? জল থেকে হচ্ছে?
“আরে না রে। এইখানেই তো আসল রহস্য। মা রান্নার দিদির সঙ্গে কথা বলে জানলেন কারণটা। বাবা যে সফটোভ্যাকটা রোজ খান, ওটা খাবার টেবিলে রাখা থাকে। তো রান্নার দিদি ওটাকে কোনো সুস্বাদু মশলা ভেবে রোজ আমার টিফিনে আলুর উপর ছড়িয়ে দেয়…. ব্যস….”
আর ব্যস….. আমার তো দম আটকানোর অবস্থা… বললাম, বন্ধ হয়েছে তো?
“রান্নার দিদি বাবাকেই চোটপাট করে বললেন, আপনারই বা এই জোলাপ-টোলাপ খাবার টেবিলের উপর রাখার কী দরকার…. যা হোক দাদাকে বলার দরকার নেই আমিই যত কাণ্ডের মূলে…..”
আমি হাসব না কাঁদব ভাবছি। পোড়া মুখের সঙ্গে গলিত কোলন যে কী নিদারুন কম্বিনেশন হতে পারে…. সে যার হয় সে-ই জানে।