আমার হাত দিয়ে ভাত মেখে খাওয়া
হাতপাখার দমক দমক হাওয়া
বটগাছের মর্মর পাতার ছাওয়া
বেঁচে থাকুক
আমার দীঘির জলের শীতলতা
সবুজ মাঠের উজ্জ্বলতা
মিঠে পানের দোক্তাপাতা
বেঁচে থাকুক
আমার পুকুরে হাঁস মুরগী
মাঠে গরু ছাগল চরুক
বাউল ভিক্ষা করে গান গেয়ে ফিরুক
শুকনো সুপুরি পাতায় বাচ্চারা সব
এ ওকে বসিয়ে টানুক
সন্ধ্যেতে শাঁখ উলু কাঁসর ঘন্টা বাজুক
গভীর রাতে ঝিঁঝিপোকা ডাকুক
বর্ষারাতে ধানের গোলা ভিজুক
অন্ধকারে আমার শাঁকচুন্নি, মেছোভূত বাঁচুক
দিনের আলোয় বড়ির সারি, আমসত্ত্ব শুকুক
লালপেড়ে সাদা শাড়ির পাশে, বৈষ্ণবের গেরুয়া কাচা থাকুক
আমার হরিসভা, চণ্ডীমণ্ডপ, তুলসীমঞ্চ, আলপনা, লক্ষ্মীর ঘট বাঁচুক
আমার লক্ষ্মীর পাঁচালি, চৈতন্যলীলা, মঙ্গলকাব্য বাঁচুক
মনসাতলা, ঘেঁটু শীতলা, বাবার থান বাঁচুক
ধানদুব্বো, সিঁদুর আলতা, শাঁখাপলা, ঢেঁকি, যাঁতা বাঁচুক
বাংলা বাঁচলে আমি বাঁচব
বাংলা থাকলে আমি থাকব
আন্তর্জাতিকতা চাই না, চাই না
বিশ্বজনীন আমার বাঙালিত্ব থাকুক
এ মহাবিশ্বের অসীম আবাসে
অবশ্যম্ভাবী বদল হাওয়ায়
নিজেকে হারানো অনাবশ্যক
আত্মপরিচয়ে স্বগৌরবে
আমার বাঙালি-আমি বাঁচুক
শুভ নববর্ষ
মঙ্গলের পুণ্যঘট
মঙ্গলময়ের করুণা আশীষে ভরুক