গতকাল ছিল ৪৩ ডিগ্রি। আজ ৪২ হওয়ার কথা নাকি। হঠাৎ ছুটি পেলাম সকালে। বেরোলাম। অনেকটা সময় কাছেই নির্জন গাছপালা ঘেরা পরিবেশে কাটালাম। গতকাল কলকাতা পুলিশের পেজ থেকে শেয়ার করেছে দেখলাম, গাছের ছায়ায় শান্তি। সত্যিই শান্তি। শুধু শরীরের না। মনেরও। মানুষের মধ্যে রাতদিন থাকতে থাকতে, নিজের জমির লড়াই লড়তে লড়তে বুদ্ধি বড্ড বেমানানা বেয়াড়া ধরণের তীক্ষ্ম হয়ে যায়। বড্ড আস্কারা পায়। আর বাদ বাকি যা আছে মনের সম্পদ, সবকে তুচ্ছ করে। সারাদিন তক্কাতক্কি, মতলব আর ধান্দাবাজিতে কেটে যাচ্ছে দিন। রাতদিন সফল হওয়ার বিজ্ঞাপনে বয়ে যাচ্ছে জীবন। ধুস!
দাঁত যখন তীক্ষ্ম হয়ে যায়, নিজের গাল আর জিভকে নিজেই ক্ষতবিক্ষত করে। তেমনই বুদ্ধিও যখন অতিরিক্ত প্রশ্রয় পেয়ে, আস্কারা পেয়ে তীক্ষ্ম হয়ে যায়, তখন নিজেকেই অতিষ্ঠ করে তোলে।
এই গাছের ছায়ায়, এই বিজন রাস্তার ধারে কজন সতীর্থদের সঙ্গে কাটাতে কাটাতে এইটুকুই বুঝলাম আবার নতুন করে। বুদ্ধিকে এড়িয়ে গিয়েও অনেকখানি বাকি থাকি আমি। সে আমিটুকু হেলাফেলা করার জিনিস না। সে ঐশ্বর্যের পিছনে দৌড়ায় না। তার নিজেরই এত ঐশ্বর্য আছে বলে। সে ধার করা না। বুদ্ধি ডুবতে দেয় না, নিজের খবরদারি হারাবে বলে। কিন্তু তাই কী হয় চিরটাকাল! যে ডাকার সে ডাকবেই। লোভের মেলায় না, শান্তির ছায়ায়, শান্তিনিকেতনে।