দুবাইতে বৃষ্টি শুরু হল আবার। দাপুটে বৃষ্টি। কালিদাসের মেঘদূতের বৃষ্টি না। মার্কেজের সেই কবর থেকে মড়া বেরিয়ে ভেসে যাওয়া বৃষ্টি।
সেখানে শুরু হবে অনলাইন ক্লাস।
দক্ষিণ এশিয়ায় এখন তাপপ্রবাহ। স্কুল সকালে হচ্ছে। অনেক স্কুলে প্রস্তাব এসেছে অনলাইন ক্লাসের।
পশ্চিমে যুদ্ধ বিরোধী প্রতিবাদী তরুণদের ঘাড় ধরে তুলে দেওয়া হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ থেকে। যে প্রাঙ্গণ এখন মুক্তচিন্তার নয়। রাষ্ট্রের। তার দায় শান্তি প্রতিষ্ঠার। যে শান্তি ঝড় আর ঘাসের চুক্তিতে। মহীরুহের নয়।
একদিন দুর্যোগ আরো ঘনাবে। অনলাইনে পড়ার আর পড়ানোর মত কেউ থাকবে না। প্রতিবাদ করার কেউ থাকবে না। একদিন আসবে, যখন গোটা পৃথিবীতে কোনো প্রাণী নেই। সেদিন দেখা যাবে, সারা পৃথিবী জুড়ে তীব্র উষ্ণ বাতাসে পতপত করে উড়ছে রাশি রাশি বইয়ের পাতা। উদ্দাম বৃষ্টিতে বন্যায় ভেসে যাচ্ছে রাশি রাশি বইয়ের পাতা। শিশুর রক্তলাগা বইয়ের পাতা, রক্তমাখা খেলনার গায়ে ঠেসান দিয়ে আছে।
এত এত বই! মানুষের জ্ঞানভাণ্ডার। অথচ কোথাও কোনো মানুষ নেই। নেই গাছ। চারদিকে শুধু বই আর বই আর বই। শান্তি ভঙ্গের কেউ নেই। বই শান্তিভঙ্গ করে না। বই শান্তি প্রতিষ্ঠাও করে না। করে মানুষ। কিন্তু সে তো অতীত তখন!