Skip to main content
কোনো এক মুহূর্তে মানুষটা বুঝতে পারল, যে সমুদ্রটা দেখবে বলে সে এতটা পথ অক্লান্ত পাড়ি দিল, সে সমুদ্রেরও একটা সীমা আছে। 
ফিরে যাবে বলে যেই পিছন ফিরেছে, তার নিজের ছায়ায় থমকে গেল। ছায়াটা মস্ত, সূর্যাস্তের আলোয় তৈরি। সে আবার সামনে ফিরল। তার ছায়ারও সীমা আছে। দিগন্তেরও সীমা আছে। সমুদ্রের আছে। সে আকাশের দিকে তাকিয়ে বলল, তোমার? 
আকাশ বলল, পাখির ডানায় আছে আর তোমার দেখায়। 
মানুষটা বালির উপর বসল। ঢেউয়ের পরে ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে, সে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে। চোখ বন্ধ করল। তন্দ্রায় আচ্ছন্ন অবসন্ন শরীর তার। 
যখন চোখ মেললো, তখন চাঁদ মধ্য আকাশে। পূর্ণচন্দ্র। জ্যোৎস্নাস্নাত চারদিক। দূরে ছোটো ছোটো আলোর বিন্দু। জেলেদের নৌকা, মাছ ধরছে। মানুষটা বালির উপর আকাশটাকে বুকে নিয়ে শুলো। 
তার চারদিকে অনেক টুকরো টুকরো সীমা - আকাশের, দিগন্তের, সমুদ্রের, দেখার, ওড়ার। সীমা পাঁচিল নয়। এক সীমার মধ্যে আরেক সীমায় যাতায়াতের পথ আছে। সেই পথ অসীম। অসীম সীমার বাইরে নয়। সীমার সাথে সীমার যোগে। 
মানুষটা সমুদ্রে নামল।